ঝিনাইদহে ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে বাঁধাকপি

বাজার গোপালপুর প্রতিনিধি: ঝিনাইদহে বাঁধাকপি ক্রেতার অভাবে চাষিরা বিক্রি করতে না পেরে ক্ষেতেই শুকিয়ে নষ্ট হচ্ছে। আবার কোনো কোনো চাষি জমি চাষ দিয়ে দিচ্ছেন। জেলায় দেড় শতাধিত চাষি লাভের আশায় বাঁধাকপির আবাদ করে এখন লোকসান গুনতে হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা জানান, পশু খাওয়ানোর জন্যও কেউ নিতে চাইছে না; কারণ বাঁধাকপি বেশি পরিমাণে খাওয়ালে পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি থাকে। তাই জমি থেকে কেউ মাগনাও নিতে চাইছে না।
ঝিনাইদহের খালিশপুরের পুরন্দপুরের কসাইপাড়ার শফিউদ্দিন বলেন, তিনি গুয়ালহুদার মাঠে একবিঘা জমি লিজ নিয়ে বাঁধাকপির আবাদ করে ছিলেন। এতে তার প্রায় ৩২-৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু তিনি বাঁধাকপি বিক্রি করতে না পেরে ক্ষতির মুখে পড়েছেন। প্রথমে ১-২ টাকা দরে বিক্রি করলেও খরচের টাকাই তার ওঠেনি। আবার কপিগুলো বাইরে কোনো জায়গায় ফেলবেন তাও ফেলতে পারছে না। কারণ পঁচে দুর্গন্ধ ছড়াবে ভেবে লোকজনে বাধা দিচ্ছে। তাই জমিতেই শুকোচ্ছে। একই অবস্থা মাঠের রমজান আলী ম-ল ও মোশারেফ হোসেনের।
মোশারেফ হোসেন জানান, তিনি দুই বিঘা জমিতে বাঁধাকপির আবাদ করেছিলেন। আবাদও ভালো হয়েছিলো। একটি বাঁধাকপি ২-৩ কেজি ওজন হয়েছিলো, তা বিক্রি করতে হয়েছিলো ১-২ টাকায়। তাও আবার শেষ পর্যন্ত বিক্রি করতে না পেরে জমিতেই নষ্ট হওয়ায় ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ দিয়েছেন। একই অবস্থা প্রায় অন্যান্য বাঁধাকপির চাষির।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসাব-রক্ষক পাপিয়া খাতুন জানান, এ বছর ১১ হাজার ৯৫ হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার থেকে ৪৫ হেক্টর বেশি। আর এ পরিমাণ জমি থেকে ২৩ হাজার ৯৬৩ মেট্রিক টন সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে।

Comments (0)
Add Comment