ঝিনাইদহে নিখোঁজের পরদিনই ৫ স্বামী পরিত্যক্তার লাশ উদ্ধার

বাজার গোপালপুর প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের পুড়াবেতাই গ্রামে রেকসোনা খাতুন (৩২) নামে এক নারী নিখোঁজের পরদিন লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার গ্রামের একটি মেহগনি বাগান থেকে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস দেয়া লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানায়, রেকসোনার একে একে ৫ বার বিয়ে হয়। কিন্তু দাম্পত্য কলহের কারনে কোনো স্বামীর নিকটই সংসার হয়নি। বর্তমানে সে পিতার বাড়িতে বসবাসের পাশাপাশি লাগামহীন চলাফেরা ও রাস্তায় মাটি কাটার কাজ করতেন। রোকসোনাকে ধর্ষনের পর হত্যা করা হতে পারে বলে তারা মনে করছে।
গ্রামবাসী জানায়, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের পুড়াবেতাই গ্রামের শান্তি পাড়ার নুর ইসলাম ওরফে নুরোর মেয়ে স্বামী পরিত্যাক্তা রেকসোনা খাতুনে ৫ বার বিয়ে হয়। কিন্তু স্বামী সংসারে দাস্পত্য বিবাদের কারণে পরিত্যক্ত হয়। বর্তমানে পিতা মাতার সাথে বসবাসের পাশাপাশি লাগামহীন চলাফেরা ও রাস্তায় মাটি কাটার কাজ করতেন। রাতের বেলা একলা পাশে বাজার ঘাটে চলাফেরা করতে দেখা যেত বলে গ্রামবাসী জানায়।
নিহতের পিতা জানায়, মঙ্গলবার বিকেল থেকে রেকসোনা নিখোঁজ ছিলো। কোথায় গেছে তার কোনো খোঁজখবর পাওয়া যাচ্ছিলো না। বুধবার দুপুরে গ্রামের একটি মেহগনি বাগানে একটি লাশ দেখতে পেয়ে গ্রামবাসী জানায়। সেখানে গিয়ে দেখতে পাই মেয়ের লাশ। পুলিশ খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
স্থানীয় মেম্বার আব্দুর রহমান জানান, রেকসোনার পাঁচ জায়গায় বিয়ের পর ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। তার একটি ছেলে ছিলো। সে গত সাত বছর আগে মারা গেছে। বর্তমানে মেয়েটি পিতার বাড়িতে বসবাস করতো এবং রাস্তায় মাটি কাটার কাজ করতো। মঙ্গলবার বিকেল থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না তাকে। বুধবার দুপুরে গ্রামের একটি মেহগনি বাগানে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়। লাশের শরীরে কোনো আঘাতে চিহ্ন না থাকলেও তার নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিলো।
বিষয়টি নিয়ে গান্না ইউনিয়নের বেতাই পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সিরাজুল ইসলাম জানান, রেকসোনা হত্যার মোটিভ ও ক্লু উদ্ধারে তৎপর রয়েছে পুলিশ। তার সাবেক কোনো স্বামী এই হত্যার সাথে জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে আমরা মনে করছি, রেকসোনাকে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে বিকেলে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, হত্যা নাকি আত্মহত্যা, ময়না তদন্ত রিপোর্ট ছাড়া বলা যাচ্ছেনা।

Comments (0)
Add Comment