ডা. ইব্রাহিমের ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় সেবা দিবস পালন

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় ডায়াবেটিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও জাতীয় অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিমের ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সেবা দিবস পালন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় চুয়াডাঙ্গা ডায়াবেটিক সমিতির কার্যালয়ে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে শহরের রেডক্রিসেন্ট চক্ষু হাসপাতালে বিনামূল্যে ডায়াবেটিস রোগনির্ণয় পরীক্ষা কর্মসূচি পালন করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শামসুজ্জোহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শাহান, কোষাধ্যক্ষ অ্যাড. আকসিজুল ইসলাম রতন, কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা ও মফিজুর রহমান মনা, অ্যাড. এমএম শাহজাহান মুকুল এবং ডা. মিজানুর রহমান বক্তব্য রাখেন। এসময় কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাড. রফিকুল ইসলাম, আজীবন সদস্য এমএম আলাউদ্দিন, মেডিকেল অফিসার ডা. নাহিদ ফাতেমা রতœা ডায়াবেটিক সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারী ও রোগীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বায়তুল আমান জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন মো. মাসুম বিল্লাহ পবিত্র কোরাআন থেকে তেলাওয়াত ও দোয়া পরিচালনা করেন।
আলোচনা সভায় সমিতির সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার বলেন, জাতীয় অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহীম ছিলেন একজন পথ প্রদর্শক। তিনি পথ দেখিয়ে গেছেন। ডায়াবেটিস রোগীদের কল্যাণের কথা ভেবে তিনি ডায়াবেটিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার দেখানো পথে চিকিৎসক ও নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা ডায়াবেটিস রোগীদের সেবা দিয়ে চলেছেন। ডায়াবেটিস রোগীদের নিজের শরীরের প্রতি যতœ নিতে হবে। ডা. ইব্রাহিম বড় মানসিকতার মানুষ ছিলেন। তার আদর্শ মেনে ডায়াবেটিক সমিতি এগিয়ে চলেছে।
আলোচনা সভায় সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. মিজানুর রহমান বলেন, মানুষের শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেউ পায়ে হেঁটে কোথাও যায় না। প্রতিদিন হাঁটতে হবে। খাদ্যও ভেজাল। সবকিছু মিলেই ডায়াবেটিস উর্ধ্বগতি হয়ে গেছে। ৩৬৫ দিন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখলেও ৩০ বছর পর রোগী চোখে দেখবে না। থ্রি হোয়াইট পয়জন চিনি, লবণ ও ভাত। এগুলো খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সয়াবিন তৈল ছাড়তে হবে। ভেষজ/প্রাণিজ থেকে সয়াবিন তৈল তৈরী হয়।

Comments (0)
Add Comment