ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদীর আরও একটি সাফল্য

 

পঙ্গুত্ব থেকে সুস্থতা পেলেন নিজাম উদ্দীন

স্টাফ রিপোর্টার: দর্শনা বেগমপুরের নিজাম উদ্দীন মালয়েশিয়া প্রবাসে পরিশ্রম করে ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে সক্ষম হলেও কোমরের অস্থিমজ্জার জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে ভুগছিলেন চরম অনিশ্চিয়তার প্রহর।  স্বাভাবিকভাবে চলাফেরার ক্ষমতা দিন দিন যেমন লোপ পাচ্ছিলো, তেমনই দেশের বড় বড় শহরের নামকরা বহু চিকিৎসকের নিকট গিয়ে চিকিৎসা নিয়েও মিলছিলো না সুস্থতা।  অবশেষে চুয়াডাঙ্গার কৃতি সন্তান ড. প্রফেসর মাহবুব হোসেন মেহেদীর ঐক্যান্তিক প্রচেষ্টায় সফল অস্ত্রোপচারে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন নিজাম উদ্দীন।

নাজিম উদ্দীনের দেয়া চিকিৎসা কেন্দ্র সূত্রে উপরোক্ত তথ্য জানা গেছে।  সংশ্লিষ্টসূত্র বলেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের বেগমপুরের আজগার আলী মোল্লার ছেলে নাজিম উদ্দীনের বর্তমান বয়স ৪৭ বছর।  জীবন সংগ্রামে সাফল্য পেতে তথা আর্থিক স্বচ্ছ্ব্লতার স্বপ্নে মালয়েশিয়া প্রবাসে পাড়ি জমান।  দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে প্রবাসে পরিশ্রম করে পরিবারের সদস্যদের মুখে যেমন হাসি ফুটান, তেমনই তিনিও স্বচ্ছ্বলতা পেয়ে দেশে ফিরে সুখে শান্তিতে জীবনযাপনের কথা ভাবতে থাকেন।  বিধি বাম।  হাঠাত করেই কোমরে শুরু হয় তীব্র ব্যথা।  স্বাভাবিক চলাফেরায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে থাকে।  দেশে ফিরে দেশের নামি দামি বহু চিকিৎসকের নিকট গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থতার জন্য ছুটতে থাকেন।  সুস্থতা না পেয়ে যখন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে তখনই খোঁজ পান চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সড়কের মেহেদী টাওয়ার ( পুরাতন বনলতা ভবন) এ দেশের প্রখ্যাত অর্থপেডিক ড. মাহবুব হোসেন মেহেদীর।  কোমরের অস্থি সন্ধি পরীক্ষা নীরিক্ষা করে ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী বলেন, চুয়াডাঙ্গায় নয়, ঢাকায় গিয়ে আরও কিছু পরীক্ষা করাতে হবে।  প্রয়োজনে অস্ত্রোপচারও করতে হতে পারে।  রোগী ও রোগীর লোকজন চিকিৎসক প্রফেসর ড. মাহবুব হোসেন মেহেদীর সিদ্ধান্তের উপর ছেড়ে দেন।

চুয়াডাঙ্গার কৃতি সন্তান ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী এর আগেও বহু জটিল রোগের চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন।  সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন।  তিনি বলেছেন, রোগী নিজাম উদ্দীনকে ঢাকার ইউর্ক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়।  সহযোগি ও সহকর্মীদের সাথে নিয়ে টানা ৮ ঘণ্টা অস্ত্রোপচার করা হয়।  অস্ত্রোপচার সফল হয়।  ফলে অপারেশনের পর স্বল্প সময়ের মধ্যেই চিকিৎসক তাঁর রোগীকে সাহস করে পায়ে ভর দিয়ে হাটতে বলেন।  নিজাম উদ্দীন হাটতে পারছে দেখে স্বাস্তির শ্বাস ছাড়েন।  চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য দোয়া করে রোগী মহান সৃষ্টি কর্তার প্রতি শুকরিয়া আদায় করেন।

চুয়াডাঙ্গা তালতার মরহুম মোরাদ ও মরহুম হাজেরা মোরাদের কৃতি সন্তান ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী তার চিকিৎসা ক্ষেত্রে আরও একটি সফলতা পেয়ে সকল প্রশংসা মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তায়ালার বলে শুকরিয়া আদায় করে বলেছেন, এ সফলতা বরাবরের মত এবারও আমার পিতা মাতার জন্য উৎসর্গ করছি।  একই সাথে এলাকাবাসীসহ সকলের নিকট দোয়া কামনা করছি।