দর্শনায় মাথাভাঙ্গা নদীতে স্রোতে ভেসে যাওয়া নিখোঁজ ওয়াজেদ লাশ ভারতের অভ্যান্তরে উদ্ধার

দর্শনা অফিস: নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোজ ওয়াজেদ আলীর সন্ধান মিলেছে। নিখোঁজের ৮ দিনের মাথায় ভারতের অভ্যান্তরে বৃদ্ধ ওয়াজেদের গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়না তদন্ত শেষে রাখা হয়েছে কৃষ্ণনগর হাসপাতাল মর্গে।

পরিবারের সদস্যরা লাশ ওয়াজেদের বলে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করলেও লাশ গলিত হওয়ায় দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। বিজিবির পক্ষে পত্র দেয়া হলেও বিএসএফর পক্ষ থেকে মেলেনি সাড়া। লাশ ফেরত পেতে অপেক্ষার পালা শুরু হয়েছে স্বজনদের। দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের আক্কাস ম-লের ছেলে ওয়াজেদ আলী গত সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে গোসল করতে যান গ্রাম ঘেষে বয়ে যাওয়া স্রোতশিনী মাথাভাঙ্গা নদীতে। যদিও কেউ কেউ বৃদ্ধ ওয়াজেদকে গোসল করতে নদীর ঘাটে নামতে দেখেছে, তবে সেসময় স্থানটি ছিলো নির্জন। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও ওয়াজেদ আলী বাড়ি না ফেরায় পরিবার লোকজন নদীর ঘাটে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরিবারের সদস্যরা প্রথমে ধারণা করেছিলো কোনো আত্মীয় বাড়িতে গেছেন ওয়াজেদ আলী। সে কারণে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ নেয়া হলেও ফলাফল হয় শূন্য। পরদিন মঙ্গলবার নদীর পানিতে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। ভারত-বাংলাদেশ সীমানা ঘেষে শূন্যরেখা দিয়ে বয়ে গেছে মাথাভাঙ্গা নদী। সেই কারণে নদীর ওপারে খোঁজাখুজি ছিলো অসম্ভব। শেষ অবধি খবর দেয়া হয় দর্শনা ফায়ার সার্ভিসে। সীমান্ত শূন্য রেখা হওয়ায় দেখা দেয় আইনি জটিলতা। নিরাপত্তাহীন মনে করেই ফিরে আসতে হয়েছে উদ্ধারকর্মীদের। অবশেষে ওয়াজেদ আলী বৃদ্ধ হওয়ায় নদীর স্রোত সামলাতে না পেরে পানিতে ভেসে গেছেন বলেই ধারণা করেছিলো অনেকেই। শেষ পর্যন্ত নিখোঁজের টানা ৮ দিনের মাথায় গতকাল সোমবার বিকেলে পরিবারের সদস্যরা খবর পায় ওয়াজেদ আলীর লাশ রয়েছে ভারতের কৃষ্ণনগর হাসপাতাল মর্গে।

জানা গেছে, মাথাভাঙ্গা নদীর কোল ঘেষা গ্রাম ভারতের নদীয় জেলার গোবিন্দপুর ঘাটে স্থানীয়রা লাশ ভাসতে দেখে খবর দেয় পুলিশকে। কৃষ্ণনগর থানা পুলিশ গলিত লাশ উদ্ধার করে নেয় হাসপাতাল মর্গে। সেখানে ময়না তদন্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে ওয়াজেদের নিকটাত্মীয় রয়েছে ওই এলাকায়। তারা লাশ দেখে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করে গলিত বৃদ্ধ ব্যক্তি ওয়াজেদ। এ ব্যাপারে বাড়াদি বিজিবি ক্যাম্পে যোগাযোগ করা হলেও ক্যাম্প কমান্ডার জানান, নিখোঁজের পরপরই ভারতের গোবিন্দপুর বিএসএফকে পত্রের মাধ্যমে অবগত করা হলেও আজ অবধি ওই পত্রের জবাব মেলেনি। ভারতে উদ্ধারকৃত লাশ ওয়াজেদের হয়ে থাকলে আইনি প্রক্রিয়ায় আনা হবে।

Comments (0)
Add Comment