নাটুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলার কুতুবপুরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মাত্র ২০০ ফিট রাস্তা। তবে গত ২০ বছরেও এই স্কুলে যাওয়ার রাস্তা সলিং তো দূরের কথা, কোনো প্রকার মেরামতের ছোঁয়া পায়নি। বর্ষা এলেই রাস্তায় কোমর পানি জমে যায়। ফলে কোমলমতি শিশুদের স্কুলে যাওয়া আসা যেন রীতিমতো জীবন ঝুঁকির বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম বলেন, ২০০৫ সালে স্কুলটি স্থাপিত হলেও তখন থেকে আজ অবধি এই ২০০ ফিট রাস্তায় কোনো সলিং বা হেয়ারিং হয়নি। বর্ষা মরসুমে পানি জমে হাঁটাচলা করাই দায় হয়ে পড়ে। এতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার কমে যাচ্ছে। আর পড়াশোনায়ও ব্যাঘাত ঘটছে। শুধু শিক্ষকই নয় অভিভাবকরাও আতঙ্কে। কারণ শিশুদের স্কুলে পাঠিয়ে তারা নিশ্চিন্তে থাকতে পারছেন না। স্থানীয় ও অভিভাবকরা জানান, বৃষ্টির দিনে বাচ্চারা স্কুলে গেলে জামা-কাপড় ভিজে যায়। আর পা পিছলে পানিতে পড়লে বড় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। গত দুদিন আগে রাব্বি নামের এক শিক্ষার্থী কোমর পানিতে পড়ে প্রায় ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়। প্রশাসনের বারবার আশ্বাস থাকলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এলাকার মানুষ মনে করেন, একটি স্কুলের সামনে এমন অবস্থা সত্যিই দুঃখজনক এবং এটা শিক্ষা অবহেলার চরম উদাহরণ। শিক্ষার্থীরা চোখে জল নিয়ে বলছে, আর কতদিন এই কষ্ট সহ্য করবো। প্রশাসনের চোখে কি কিছুই পড়ে না? এলাকার সচেতন মহল ও অভিভাবকরা দ্রুত রাস্তাটি নির্মাণে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তিথি মিত্রের নিকট আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা মনে করেন, এই ২০০ ফিট রাস্তাটি পাকা করে দিলে অন্তত কোমলমতি শিশুরা নিরাপদে স্কুলে যেতে পারবে এবং লেখাপড়ায় আগ্রহও বাড়বে। এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তিথি মিত্র বলেন, বিষয়টি কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করবো।