দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে চুয়াডাঙ্গায় স্বল্প আয়ের পরিবারগুলোর নাভিশ্বাস

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় বেগুনের দাম বহুদিন ধরেই বেকায়দা চড়া। লকডাউনের আগে পরে দাম বেড়েছে মাছ ও ভোজ্য তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অধিকাংশ দ্রব্যের। এতে স্বল্প আয়ের পরিবরগুলোর নাভিশ^াস উঠেছে। দিন আনা দিন খাওয়াদের অনেকেরই দিন কাটছে কষ্টে। যদিও সরকারিভাবে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী হিসেবে খাদ্যদ্রব্য বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। অবশ্য অনেকেরই অভিযোগ, এসব তারা পাচ্ছেন না।
গত দুদিন ধরে চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার নিচেরবাজার, রেলবাজার, কেদারগঞ্জ নতুনবাজার ঘুরে আনাজের অনেকটাই অভিন্ন মূল্য চিত্র পাওয়া গেছে। বেগুনের দাম ৫০ টাকা কেজি। আলু ২৫ টাকা, পটল ৩৫ টাকা, ঝিঙে ৪০ টাকা, ভেন্ডি ৪০ টাকা কেজি। কচু? তারও দাম এখন ৫০ টাকা। পেয়াজের দামও কয়েকদিনের মধ্যে বেড়ে ৫০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। রুসনের দাম পেয়াজের দ্বিগুন। পেপের দামও ৩৫ টাকা কেজি। কাঁচা মরিচের দাম এই নামে এই ওঠে। গত দুদিন ধরে অবশ্য চুয়াডাঙ্গার কাঁচাবাজারে ৪০ টাকা কেজি দরেই ভোক্তা সাধরণকে কিনতে হচ্ছে। আর মাছের বাজারে ভরা আষাঢ়েও ইলিশ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। যাওয়া পাওয়া যাচ্ছে তা দেড় হাজার টাকা কেজি। চাষের পাঙ্গাস ছিলো বলে রক্ষা। থলথলে চর্বিযুক্ত পাঙ্গাসের দামটাই হাতের নাগালে ১শ ৪০ টাকা কেজি। ছোট ছোট চিংড়ের দিয়ে তরকরি মজানোরও জো নেই। এক পোয়া তথা আড়াইশ গ্রাম গুড়ো চিংড়ি কনতে হলে গুনতে হচ্ছে প্রায় ২শ টাকা। কেজি ৭শ থেকে পৌনে ৮শ টাকা। মৃগেল ২২০ টাকা, কাতলা ৩২০ টাকা আর রুই ২শ ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি মাছ কিনে পরিবারের সদস্যদের পাতে দেয়ার মত অবস্থা আর অল্প আয়ের মানুষের নেই। ভৈজ্য তেলের দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে। এক কেজি সোয়াবিন কিনতে হরে গুনতে হচ্ছে দেড়শ টাকা। সরিষার তেল ১৭০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। মসুরির ডাল ১১০, ছোলার ডাল ৮০, দেশি মগডাল ১২০ টাকা। এক খাঁচি ফার্মের মুরগির ডিম কিনতে হলেও ভোক্তাদের গুনতে হচ্ছে কমপক্ষে আড়াইশ টাকা। মাংসের দোকানে দীর্ঘদিন ধরেই অল্প আয়ের ভোক্তা সাধারনের যাওয়ার জো নেই। এক কেজি খাসির মাংস কিনতে হলে ব্লাকবেঙ্গল গটের জেলায় গুনতে হচ্ছে ৭২০ টাকা। গুরুর গোস্তের দাম সাড়ে ৫শ। বয়লার মুরগি ১৫০, লেয়ার ২৪০, প্যারেন্টমুরগি আড়াইশ, সোনালী ২শ ও দেশি মুরগি সাড়ে ৪শ টাকা কেজি।
লকডাউনের মধ্যে মাছের দাম এতো বাড়লো কেনো? এ প্রশ্নের জবাবে মাছ বিক্রেতাদের প্রায় সকলেরই অভিন্ন অভিমত- বাজারে চাহিদার তুলনায় মাছ সরবরাহ কম। এ কারণে কিছু মাছের দাম কেজিতে প্রায় ৫০ টাকা বেড়েছে।

Comments (0)
Add Comment