পরকীয়ার ঘটনায় গোপনে তৃতীয় দফার সালিস : ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায় রফা

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার গড়াইটুপির তেঘরি গ্রামের স¤্রাট ও তিতুদহর গোলাপনগর গ্রামের জনৈক ফারহানার পরকীয়ার ঘটনায় অতি গোপনে তৃতীয় দফার সালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানাগেছে। অবস্থা বেগতিক বুঝে স¤্রাটের পরিবার জমি বন্ধক রেখে এবং ধারকর্য করে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায় বিষয়টি মিমাংসা করে নিয়েছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। এ টাকার মধ্যে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা মেয়ের পরিবার হাতে পেলেও বাকি ৬০ হাজার টাকা গ্যাড়ায় খেয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের তেঘরি গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে স¤্রাট পরকীয়া দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিতুদহ ইউনিয়নের গোলাপনগর গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা দু’সন্তানের জননী ফারহানার সাথে। ঘটনা জানিজানি হবার পর স¤্রাট টালবাহানা শুরু করে দেয়। কয়েকদিন আগে ওই নারী এমন অভিযোগ তুলে স¤্রাটের সাথে বিয়ের দাবিতে অনড় থাকে এবং কয়েকবার স¤্রাটের বাড়িতেও গিয়ে ওঠে। এ নিয়ে প্রথমবার স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের বাড়িতে এবং দ্বিতীয় দফায় ওই নারীর বাড়িতে বসে সালিস বৈঠক। মেয়ে বিয়ের দাবিতে অনড় থাকায় দু’দফার সালিস বৈঠক দর কষাকষিতে ভেস্তে যায়। অবশেষে বৃহস্পতিবার অতিগোপনে বসে তৃতীয় দফার সালিস বৈঠক। গুঞ্জন উঠেছে অবস্থা বেগতিক বুঝে স¤্রাটের পরিবার জমি বন্ধক এবং ধারকর্য করে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায় বিষয়টি মিমাংসা করে নিয়েছে। সূত্র জানিয়েছে এ টাকার মধ্যে মেয়েপক্ষ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা হাতে পেলেও স্ট্যাম্পে লেখা হয়েছে ৬৫ হাজার টাকা। বাকি ৬০ হাজার টাকা পুলিশ, সাংবাদিকের নাম করে কেটে রাখা হয়েছে। সেই সাথে ঘটনার পর থেকে সুর পাল্টেছে ফারহানা। তিনি বলেন, এটা উকিলের মাধ্যমে মিমাংসা হয়েছে। কোনো টাকা লেনদেন হয়েছে কি-না জানি না। জনমনে প্রশ্ন জেগেছে কারা করলো সালিস, আর কে পেলো কতো টাকা?

 

Comments (0)
Add Comment