চুয়াডাঙ্গায় পিতা ও স্ত্রীসহ মাদককারবারির জেল

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় স্বামী-স্ত্রীসহ তিন মাদককারবারিকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গাঁজা ও ইয়াবাসহ আটকের পর তাদেরকে এ দণ্ডাদেশ দেয়া হয়। গতকাল সোমবার বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তিন মাদককারবারিকে কারাদণ্ডাদেশ দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া মমতাজ। এর আগে বেলা তিনটার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া মমতাজের নেতৃত্বে সাতগাড়ি এলাকায় অভিযান চালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। এসময় দণ্ডপ্রাপ্ত সাগর খান ও তার স্ত্রী শেফালির কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় গাঁজা ও ইয়াবা। এছাড়াও সাগর খানের পিতা আনোয়ার হোসেন খানের কাছ থেকেও গাঁজা উদ্ধার করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত তিনজন হলেন চুয়াডাঙ্গার সাতগাড়ি নতুনপাড়ার আনোয়ার হোসেন খানের ছেলে সাগর খান (৩৩), তার স্ত্রী শেফালী খাতুন (৩০) ও সাগরের পিতা কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের বড় আইলচারা গ্রামের মৃত নূর মোহাম্মদ খানের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৬৭)।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গতকাল সোমবার বেলা ৩টার দিকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া মমতাজের নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর শহরের সাতগাড়ি এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালানো হয়। এসময় সাতগাড়ি নতুনপাড়ার শেফালী খাতুনকে আড়াইশ গ্রাম গাঁজাসহ নিজবাড়ি থেকে আটক করা হয়। বাড়ির পেছন থেকে আটক করা হয় তার স্বামী সাগর খানকে। সাগর খানের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১ পিস ইয়াবা। ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে শেফালী খাতুনকে ১ বছরের কারাদ- ও ২শ’ টাকা অর্থদ- এবং তার স্বামী সাগর খানকে ৬ মাসের কারাদ- ও একই অর্থদণ্ডাদেশ প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া মমতাজ।

বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সাতগাড়ি মোড় থেকে আটক করা হয় সাগর খানের পিতা আনোয়ার হোসেন খানকে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১০ গ্রাম গাঁজা। সেখানেই ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে ৩ মাসের কারাদণ্ড ও একশ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। গতকালই সাজাপ্রাপ্ত তিনজনকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

Comments (0)
Add Comment