আলমডাঙ্গার এক প্রবাসী স্বামীর টাকা-স্বর্ণ নিয়ে প্রেমিকের হাত ধরে এক সন্তানের জননী উধাও

ভালাইপুর প্রতিনিধিঃ লিবিয়া প্রবাসীর টাকা, স্বর্ণালংকার নিয়ে ৭ বছরের পুত্র সন্তান রেখে প্রতিবেশি পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে মুঞ্জুয়ারা ৩৮ নামের এক গৃহবধূ পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।  ঘটনাটি ঘটেছে আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের কুলপালা গ্রামে। এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। 

            প্রবাসীর পরিবার সুত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার কুলপালা গ্রামের মৃত্যু মিয়াজান মন্ডলের ছেলে মন্টু মিয়ার সাথে প্রায় ২০ বছর আগে পারিবারিক বিয়ে হয় একই গ্রামের মফিজ উদ্দীন মন্ডলের মেয়ে মুঞ্জুয়ারার।সংসার জীবনে তাঁদের সান মিয়া (৭) পুত্র সন্তান রয়েছে। ভালোই কাটছিল সুখের সংসার। এরই মধ্যে স্ত্রী-সন্তানের সুখের কথা চিন্তা করে গত ২০১৩ সালে দেশ ছেড়ে প্রবাসে চলে যান মন্টু মিয়া । স্বামী প্রবাসে পরিশ্রম করে প্রতিমাসে স্ত্রী মুঞ্জুয়ারার কাছে বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা পাঠাত। স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে একাধিক পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েন স্ত্রী মুঞ্জুয়ারা। এনিয়ে গ্রামে একাধিকবার সালিশও হলেও মুঞ্জজুয়ারা বড় ভাই প্রভাবশালী চাষি স্বপন এর চাপে বারবার সালিশ ভেস্তেযেত বলে অভিযোগ করেন মন্টু মিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে। এদিকে গতরাত্রে প্রবাসি স্বামীর পাঠানো পাঠানো টাকা, স্বর্ণালংকার নিয়ে ৭ বছরের পুত্র সন্তান রেখে প্রতিবেশি পরকীয়া প্রেমিক কিতাব আলীর ছেলে যুবক পারভেজ এর হাত ধরে পালিয়ে যাওয়ায় প্রবাশে বসে সন্তানের কথা বিবেচনা করে দিশে হারা হয়ে পড়েছে মন্টু মিয়া।
          প্রবাসীর ছোট ভাই লিটন মিয়া বলেন, স্ত্রী সন্তানের সুখের জন্য আমার ভাই (প্রবাসী মন্টু মিয়া) ৭ বছর পূর্ব থেকে লিবিয়ায় থাকে। প্রবাসে দিনরাত পরিশ্রম করে প্রতিমাসে স্ত্রীর কাছে বিভিন্ন মাধ্যামে টাকা ও সর্নাঅলঙ্কার পাঠিয়েছে। নিয়তি এতোটাই নির্মম, আমার ভাইয়ের পরিশ্রম আর সংসারের সুখ হারিয়ে গেল। স্বামীর পরিশ্রমের কথা একটিবারও চিন্তা করেনি আমার ভাবি মঞ্জুয়ারা। শিশু পুত্র সন্তানের ভবিষ্যতের কথা পর্যন্ত ভাবেনি।
Comments (0)
Add Comment