প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভাগিয়ে নিয়ে টাকা দাবি : স্কুলছাত্রী উদ্ধার 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার হায়দারপুর গ্রামের নিখোঁজ স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত রোববার সকাল ৬টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে সে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর মোবাইলফোনে স্কুলছাত্রীর পরিবারের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে ৩০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। এ বিষয়ে গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারকে জানানো হয়। অভিযোগ দায়েরের তিন ঘন্টার মাথায় স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হায়দারপুর গ্রামের স্কুলছাত্রী (১৪) গত রোববার সকাল ৬টার দিকে প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। পরে মোবাইল ফোনে তার পরিবারের লোকজনের জানানো হয় মেয়েটি তাদের হেফাজতে আছে। তাকে ফিরে পেতে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। গতকাল সকাল ১০টার দিকে এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। মুক্তিপণ দাবি করা মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারে মাঠে নামে পুলিশ। সদর থানার এসআই আহসানুর রহমান অজ্ঞাত ওই ব্যক্তির মোবাইলের রেডিও লোকেশন এবং সিডিআর সংগ্রহ ও পর্যালোচনা শুরু করেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে দুষ্কৃতিকারীরা ওই ছাত্রীকে ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছেড়ে দেয়। উদ্ধারের পর ওই স্কুলছাত্রী জানিয়েছে, দুষ্কৃতকারীরা মোবাইলে তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ফুঁসলিয়ে ঝিনাইদহের শৈলকুপা এলাকায় নিয়ে যায়। পরে তার পরিবারের কাছে টাকা দাবি করে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহের শৈলকুপা এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ চক্র রয়েছে। তাদের কাজই হচ্ছে এই বয়সের মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে নির্ধারিত স্থানে নিয়ে যাওয়া। পরে টাকা আদায়ের মাধ্যমে ছেড়ে দেয়া। তাদের বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে হবে। ভালো ভালো পরিবারের সন্তানরা এসব চক্রের সদস্য বলে নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। এই চক্রটা জেলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আমাদের তদন্ত অব্যাহত আছে। এই চক্রকে খুব শিগগিরই গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

 

Comments (0)
Add Comment