ফাঁদে পা দিয়ে ৩৫ হাজার টাকা খোয়ালেন দামুড়হুদার দু’যুবক : মক্ষিরানীসহ গ্রেফতার ৩

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার হিজলগাড়ি বাজারপাড়ায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাসাভাড়া নিয়ে দেহব্যবসার অভিযোগ উঠেছে কোটচাঁদপুরের হাসান ও মিলনের বিরুদ্ধে। তাদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে ৩৫ হাজার টাকা খুইয়েছেন দামুড়হুদা হেমায়েতপুরের বাবু ও হিরোক। ভুক্তোভোগীদর অভিযোগে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে মক্ষিারানীসহ প্রতারক চক্রের দু’সদস্যকে। টাকা হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দিয়েছে দর্শনা হঠাৎপাড়ার তাজুল ইসলাম। ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
জানা গেছে, ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে হাসানুজ্জামান হাসান ও ছাবদালপুর গ্রামের আজির বক্সের ছেলে মিলন তথ্য গোপন করে সাপ্তাখানেক আগে বাসাভাড়া নিয়ে ওঠে চুয়াডাঙ্গা হিজলগাড়ী বাজার পাড়ার রাজ্জাকের ছেলে শান্তর বাড়িতে। ভাড়াটিয়া হাসান ও মিলন নিজেদের বিভিন্ন ব্যবসা আছে বলে বাড়ির মালিককে জানান। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার হেমায়েতপুর গ্রামের মৃত নুরমোহাম্মদের ছেলে বাবু (৩৫) ও মকবুল হোসেনের ছেলে হিরোক আলী (৪০) পূর্ব পরিচয়ের সূত্রধরে ওই বাড়িতে বেড়াতে যায়। এদিকে বাবু ও হিরোক বাড়িতে পৌঁছানোর পর শুরু হয় চক্রান্ত। তাদেরকে নারীসহ একটি কক্ষে বসার ব্যবস্থা করে হাসান ও তার স্ত্রী তাজ নাহার (৩৫)। একপর্যায় নারীর সাথে জোরপূর্বক আপত্তিকর ছবি তোলে চক্রটি। ছবি তুলে ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং মারধর করে বাবু ও হিরোকের নিকট থেকে ৩৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকচক্র। সবকিছু খুইয়ে বাড়ি পিরে যায়। বিকেলে আবার ফিরে আসে হিজলগাড়ীতে। বিষয়টি হিজলগাড়ী ক্যাম্প পুলিশকে জানালে পুলিশ সন্ধ্যার দিকে ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেন প্রতারকচক্রের সদস্য হাসান (৪০), মিলন (৩২) ও হাসানের স্ত্রী মক্ষিরানী তাজ নাহারকে। সেই সাথে উদ্ধার করে ৩ হাজার ৫শ টাকা। গ্রেফতাকৃতরা জানান, ওই টাকা দর্শনা হঠাৎপাড়ার আবুল হোসেন নাতিজামাই জনৈক তাজুল ইসলাম ওরফে তাজু ঘটনার পরপরই নিয়ে চলে গেছে। পুলিশ হঠাৎপাড়ায় তাজুলের বাড়িতে অভিযান চালালেও তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলা করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। বাড়ির মালিক শান্ত জানান, ভাড়াটিয়াদের সম্পর্কে তেমন খোঁজখবর নেয়া হয়নি। কারণ এলাকার কিছু পরিচিত মুখের সুপারিশে তাদের কাছে ৪ হাজার ৮শ টাকা মাসিক চুক্তিতে ভাড়া দেয়া হয়। বাবু ও হিরোক বলেন, বিশ্বাস করে বেড়াতে এসে ফেঁসে গেছি। হিজলগাড়ী ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই তাপস সরকার বলেন, তদন্তে সবকিছু বেরিয়ে আসবে। যারাই জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

Comments (0)
Add Comment