ফের বেড়েছে পদ্মার পানি, বিপাকে ১৫ চরের মানুষ

রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার চরে আবারও নতুনভাবে প্লাবিত হয়ে বাড়ির উঠানে উঠেছে পানি। পানি বৃদ্ধিতে পদ্মার ১৫টি চরের মানুষ নতুনভাবে গরু-ছাগল নিয়ে পড়েছেন বেকায়দায়।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে আতারপাড়া চরে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।

পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে আতারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পানি মাড়িয়ে স্কুলে আসতে পারছে না। এর মধ্যে চৌমাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একই অবস্থা।

পানি বৃদ্ধির কারণে আতারপাড়া, চৌমাদিয়া, দিয়ারকাদিরপুর চরের নিচু এলাকার প্রতিটি বাড়ির উঠানে পানি উঠেছে। এতে পদ্মার ১৫টি চরের মানুষ নতুনভাবে গরু-ছাগল নিয়ে পড়েছেন বেকায়দায়।

চৌমাদিয়া চরের সলেমান হোসেন বলেন, এই চরে ২০০ পরিবারে প্রতিটি বাড়ির উঠানে নতুনভাবে পানি প্রবেশ করেছে। তারা কোথাও যেতে পারছেন না। গরু-ছাগল নিয়েও পড়েছেন মহাসমস্যায়।

চকরাজাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের চৌমাদিয়া চরের সাবেক মেম্বার আবদুর রহমান বলেন, পদ্মার মধ্যে ১৫টি চরের আয়তন ৪৬ কিলোমিটার। জনসংখ্যা সাড়ে ১৫ হাজার। জমির পরিমাণ ৬ হাজার একর। মানুষের বসবাস প্রায় সাড়ে ৩ হাজার। জীবন বাজি রেখে চরে বসবাস করি। নিজের যতটুকু জমি ছিল, সব ভাঙনে চলে গেল। এখন নতুনভাবে পদ্মার পানি বৃদ্ধিতে নিরুপায় হয়ে পড়েছি। কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছি না, এখন কথায় যাব চিন্তায় আছি।

কালিদাসখালী চরের স্কুল শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, পদ্মা ভাঙনের কারণে চকরাজাপুর মোজার চিহ্ন হারিয়ে গেছে। কালিদাসখালী চরের তিন ভাগের দুই ভাই হারিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে চকরাজাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন, পদ্মার পানি নতুনভাবে বৃদ্ধির বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গেজ রিডার এনামুল হক বলেন, রোববার (৭ সেপ্টম্বর) সকাল ৮টায় পদ্মা নদীর পানির উচ্চতা ছিল ১৬ দশমিক ৮২ মিটার। বিপৎসীমা ১৮ দশমিক ৫ মিটার।