ভূয়া কাবিনে বিয়ে : স্কুলছাত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্কের পর স্ত্রী মানতে অস্বীকার করায় মানবতা ফাউন্ডেশনে আবেদন

স্টাফ রিপোর্টার: বিয়ের নাটক সাজিয়ে স্কুলছাত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে চুয়াডাঙ্গার গবরগাড়া গ্রামের যুবক মিনারুল ওরফে মহিনের বিরুদ্ধে। ভূয়া কাবিনে স্কুলছাত্রীকে স্ত্রী দাবি করে তার সাথে দৈহিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন মহিন। কিছুদিন পর ওই স্কুলছাত্রী স্ত্রী হিসেবে মহিনের বাড়িতে তোলার জন্য বললে বিয়ের বিষয়টি মিথ্যা বলে জানান অভিযুক্ত মহিন। স্কুলছাত্রীকে ভূয়া কাবিনে বিয়ে করেছেন বলেও জানান প্রবাসী হোসেন গাজীর ছেলে অভিযুক্ত মহিন। এ ঘটনায় এলাকায় সালিশ বৈঠক হলেও সুবিচার না পেয়ে গতকাল মানবতা ফাউন্ডেশনে আবেদন করেন ওই স্কুলছাত্রী। নির্যাতিতা স্কুলছাত্রীকে যাবতীয় আইনি সহায়তা দেবে মানবতা ফাউন্ডেশন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গবরগাড়া গ্রামের প্রবাসী হোসেন গাজীর ছেলে মিনারুল ওরফে মহিন (২২) একই এলাকার দশম শ্রেণিতে পড়–য়া এক দিনমজুরের কন্যার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সম্পর্কের একপর্যায়ে ওই স্কুলছাত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করেন তিনি। দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য মহিন একাধিকবার প্রস্তাব দিলেও বারবারই তা প্রত্যাখান করে ওই ছাত্রী। কিন্তু পিছু ছাড়ে না মহিন। স্কুলছাত্রীর সাথে একান্তে মেলামেশার জন্য কৌশল অবলম্বণ করে মহিন। তারই প্রেক্ষিতে গত ২১ জুন সকাল ৯টার দিকে প্রেমিকে স্কুলছাত্রীকে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা শহরের একাডেমীর মোড় সংলগ্ন হিরা কাজীর বাড়ীতে যান মহিন। সেখানে তারা বিয়ে করেন। পরে কোর্টে গিয়ে নোটারী পাবলিকের দপ্তরে এফিডেভিট করে উভয়ে। এরপর মহিন অটোরিক্সাযোগে মেয়েটিকে তার বাড়ীতে নিয়ে যায়। সেখানে স্ত্রী দাবী করে মেয়েটিকে দৈহিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন। এঘটনার কিছুদিন পর ওই স্কুলছাত্রীকে স্ত্রীর পরিচয়ে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। ওইসময় মহিন বলেন ‘তোমাকে যে কাবিন দিয়েছি, সেটা ভূয়া। সুতরাং আমাদের বিয়ে হয়নি।’ এ বিষয়ে এলাকায় শালিস হলেও বিচার পাননি নির্যাতিতা স্কুলছাত্রী। ফলে গতকাল বৃহস্পতিবার আইনি সহায়তা চেয়ে মানবতা ফাউন্ডেশন বরাবর আবেদন করেন তিনি। আবেদনপত্র গ্রহণ করেন মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. মানি খন্দকার। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংস্থার মানবাধিকার সেলের অপারেশন অফিসার অ্যাড. জীল্লুর রহমান জালাল, ইনফরমেশন অফিসার অ্যাড. নওশের আলী, পাবলিক রিলেশন অফিসার হাফিজ উদ্দিন হাবলু, মোটিভেশন অফিসার জাকিয়া সুলতানা ঝুমুর।
এ বিষয়ে নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. মানি খন্দকার বলেন, নির্যাতিতা স্কুলছাত্রী সুবিচার পাইনি। ফলে তাকে যাবতীয় আইনি সহায়তা দেবে মানবতা ফাউন্ডেশন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মহিনের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Comments (0)
Add Comment