মাটির ভাগ ও চাঁদা নিতে গিয়ে ধরাশায়ী জীবননগরের ছাত্রলীগ নেতা

 

জীবননগর ব্যুরো: ইটভাটার মাটি টানা ট্রাক্টর আটকিয়ে মাটির ভাগ আর চাঁদা দাবি করতে গিয়ে ধরাশায়ী হয়েছেন জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান। তবে মাটি বিক্রেতা ফরজ ওরফে ফরজ কমিশনার এ যাত্রাই রক্ষা পেয়েছেন। গত বুধবার রাতে জীবননগর-কালীগঞ্জ সড়কের বাঁকা ব্রিক্স ফিল্ডে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর আহত মেহেদী হাসান উল্টো ইটভাটার এক পরিচালকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় নালিশ করেছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, জীবননগর উপজেলার বাঁকা ব্রিক্স ফিল্ডে এনবিএম ব্রিক্স ফিল্ড অবস্থিত। উপজেলা বিএনপি সাবেক সভাপতি ও জীবননগর পৌরসভার সাবেক মেয়র হাজি নোয়াব আলীর এ ইটভাটাটি। হাজি নোয়াব আলীর ছেলে জালাল টুইন বুধবার রাতে উপজেলার শাখারিয়া হতে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি টানা শুরু করে। মাটি টানার এক পর্যায়ে বাঁকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর শাখাওয়াত হোসেন ফরজ জোরপূর্বক মাটি টানার এ বহরে জোরপূর্বক দুটি ট্রাক্টর দিয়ে মাটি নেয়া শুরু করে। এ ঘটনার ইটভাটার পক্ষ হতে প্রতিবাদ জানায়, এনবিএম ইটভাটার পক্ষ থেকে। খবর পেয়ে বাঁকা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মৃত গবুর ছেলে মেহেদী হাসান ও ¯ে^চ্ছাসেবক লীগ নেতা নাঈমের নেতৃত্বে রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে বেশ কয়েকজন ক্যাডার রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে তারাও মাটি ও মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে মেহেদী হাসান ট্রাক্টর চলাচল বন্ধ করে দেয়। ফলে রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে জালাল টুইন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তাদের সাথে মেহেদী হাসানদের তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতি হলে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ধরাশায়ী হন ছাত্রলীগ সভাপতি হাসান। এ ঘটনায় তিনি জালাল টুইন, আল-আমিন ও শাহিন নামের তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় নালিশ করেছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা ধরাশায়ী হলেও অপর হোতা ফরজ এ যাত্রায় রক্ষা পেয়েছেন বলে জানা যায়।

Comments (0)
Add Comment