মাথাভাঙ্গা নদীতে ভেসে যাওয়ার ১৭ দিন পর ভারত থেকে বাংলাদেশির লাশ ফেরত

দর্শনা অফিস: স্বজনদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দীর্ঘ ১৭ দিনের মাথায় আইনি জটিলতা কাটিয়ে কামারপাড়ার ওয়াজেদের গলিত লাশ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে লাশ হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। ভারতের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর থানার এসআই রাজেন্দ্র কুমার মল্লিক লাশ হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। দর্শনা থানার এসআই শরিফুল ইসলাম লাশ গ্রহণ করেন। বিএসএফ গেদে ক্যাম্পের কমান্ডার এসি নগেন্দ্র নাথ, বিজিবির দর্শনা কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার আব্দুল বারেক মোল্লা, চেকপোস্ট কমান্ডার হাবিলদার মিজানুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে মাও. রুহুল আমীন জানান, গত ২১ সেপ্টেম্বর দুপুরে তার বাবা ওয়াজেদ আলী (৭৫) দামুড়হুদা উপজেলার কামারপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ির পাশে মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করতে নেমে ডুবে মারা যান। এরপর নদীর স্রোতে লাশ ভেসে ভারতের অভ্যন্তরে চলে যায় লাশ। ৭ দিনের মাথায় গত ২৮ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেলে মাথাভাঙ্গা নদীর কোল ঘেষা গ্রাম ভারতের নদীয় জেলার গোবিন্দপুর ঘাটে স্থানীয়রা লাশ ভাসতে দেখে খবর দেয় পুলিশকে। কৃষ্ণনগর থানা পুলিশ গলিত লাশ উদ্ধার করে। পরে কৃষ্ণনগর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত করা হয়। মৃতের পরিচয় জানতে বিভিন্ন থানাসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পাঠানো হয়। সেই ছবির সূত্র ধরে অবশেষে মৃতদেহটি শনাক্ত করা হয়। আইনি জটিলতা কাটিয়ে তুলে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে দর্শনা জয়নগর সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ’র কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বৃদ্ধ ওয়াজেদের লাশ ১৭ দিন পর ফেরত দেয়া হয়। বিকেল ৩টার দিকে নিজ গ্রামের গোরস্তানে দাফন সম্পন্ন করা হয় ওয়াজেদ আলীর লাশ।

Comments (0)
Add Comment