মানুষের অসচেতনতার কারণে মরা পশুপাখিও মাথাভাঙ্গা নদীতে ফেলা হচ্ছে

মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন কমিটির প্রচারণা ও সচেতনতামূলক সভায় বক্তারা

স্টাফ রিপোর্টার: মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন বেগবান করতে চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষার্থীদের সাথে মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন কমিটির প্রচারণা ও সচেতনতামূলকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনার মধ্যে উঠে আসে নদী দূষণ রোধে শহর ও গ্রামের পানি নিষ্কাশন নালা ও বর্জ্য ফেলা বন্ধ, নদীর তীরে অবৈধ আবাদসহ নদীর বুকে কোমর কারেন্ট জাল বাধ অপসারণ করার জন্য তাগিদ দেয়া হয় ও স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে সচেতনামূলক মতবিনিময় করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সচেতনতামূলক সভায় চুয়াডাঙ্গা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ (অব.) হামিদুল হক মুন্সী। আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সোহেল আকরামের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাবেক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী, সহ-সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত কুমার সিংহ রায় প্রমুখ। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ‘মানুষের অসচেতনতার কারণে মরা পশুপাখি মাথাভাঙ্গা নদীতে ফেলা হচ্ছে। এতে বাড়ছে নদী দূষণ। জেলা শহরের বেশ কয়েকটা ড্রেনের মাধ্যমে নোংরা পানি নদীতে দেদারছে নামছে। এতে নদীর পানি দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে পড়ছে। নদীর তীরে অবৈধভাবে পানবরজসহ বিভিন্ন প্রকার চাষাবাদ করা হচ্ছে। মাটি খননের কারণে তা ধুয়ে নদীতে নেমে নাব্যতা নষ্ট করছে। অবাক হলেও সত্য যে, নদীর বুক থেকে বালু উত্তোলন করে উপকারের বদলে ক্ষতিই ডেকে আনা হচ্ছে। কিছু স্থানে রয়েছে কোমর। তীরে কারেন্ট জাল দিয়ে নদীর স্বাভাবিক স্রোতের প্রতিবন্ধকতায় শুধু সৃষ্টি করা হচ্ছে না, ক্ষতিকারক ওই জালের কারণে ছোট-বড় মাছের পোনা রেনুও মারা পড়ছে। এসব থেকে পরিত্রাণে প্রশাসনের যেমন আশু পদক্ষেপ নিতে হবে, তেমন সর্বস্তরের সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও রক্ষা কমিটির উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গার প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সাথে সচেতনতামূলক প্রচার অভিযান চলবে।