মেহেরপুরে অবসরে যাওয়া ব্যাংক কর্মচারী সুজাউদ্দীনের আকুতি

আমঝুপি প্রতিনিধি: বৃদ্ধ সুজাউদ্দীন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মচারী। মেহেরপুর পৌর এলাকার বোসপাড়ার মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে তিনি। কিন্তু শেষ জীবনে তাকে ভিক্ষা করতে হচ্ছে। দ্বিতীয় স্ত্রী কুষ্টিয়া মিরপুরের বিজলী খাতুনের নির্যাতনের শিকার সুজাউদ্দীন (৭০) ভিক্ষাবৃত্তি থেকে মুক্তি পেতে ঘুরছেন সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে। মেহেরপুর জেলা শহরের বোশপাড়ায় তার ১ম স্ত্রী সন্তানাদি নিয়ে বসবাস করেন। কুষ্টিয়ার জনতা ব্যাংকে পিয়ন পদে চাকরি করতেন। সেই সুবাদে তার সাথে পরিচয় হয় কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার খন্দকবাড়িয়া গ্রামের মুলুক চাঁদের মেয়ে বিজলী খাতুনের। সুজাউদ্দীন একপর্যায়ে বিজলীকে ২য় বিয়ে করেন। এরপর দীর্ঘ ১৬ বছর ২য় স্ত্রীর সাথে সংসার করে আসছিলেন। ইতোমধ্যে সুজাউদ্দীন চাকরি থেকে অবসর নেন। তার অভিযোগ দ্বিতীয় স্ত্রীর চাপে ব্যাংক থেকে ১৯ লাখ টাকা লোন তুলে মিরপুরে ৩ কাঠা জমি কিনে ঘর করে দেন। প্রথম স্ত্রী-সন্তানদের পেনশনের অর্থ দেয়ার ভয়ে, ২য় স্ত্রীর চক্রান্তে পেনশনের প্রায় ১৫ লাখ টাকা ও মাসিক ভাতা অন্যের নিকট এককালীন ৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে দ্বিতীয় স্ত্রীর নামে ব্যাংকে জমা রাখেন। ওই টাকা কৌশলে দ্বিতীয় স্ত্রী বিজলী রানী হাতিয়ে নেন। এরপর দ্বিতীয় স্ত্রী সুজাউদ্দীনকে বাড়ি থেকে বের করার নতুন কৌশল তৈরি করতে থাকেন। রাস্তায় ভিক্ষাবৃত্তিতেও পাঠান। এক পর্যায়ে সম্প্রতি মেহেরপুর পোস্ট অফিসের পাশে সুজাউদ্দীনকে ফেলে রাখা হয়। সুজাউদ্দীন বর্তমানে দুইকূল হারিয়ে তার এই মানবেতর জীবনের ঘটনা উল্লেখ্য করে ও তার প্রতিকার চেয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর মানবাধিকার সংগঠন মানব উন্নয়ন মউক’র লিগাল এইড সাপোর্ট ইউনিটে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। সংস্থার নির্বাহী প্রধান আসাদুজ্জামান সেলিম এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

 

Comments (0)
Add Comment