মেহেরপুরে যৌতুকের দাবির অভিযোগে গৃহবধূর মামলা

মেহেরপুর অফিস: যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী ও শিশুপুত্রকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ায় মেহেরপুর আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেছে মুক্তা খাতুন নামের এক গৃহবধূ। মামলায় হাজিরা দিতে না আসায় স্বামীর বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। জানা গেছে ২০১৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে ওমর ফারুকের সাথে মেহেরপুর সদর উপজেলার আশরাফুল গ্রামের মিনহাজ উদ্দিনের মেয়ে মুক্তা খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয়। ওই সময় বিয়ের দেনমোহর ধার্য করা হয় ৫ হাজার টাকা। বিয়ের সময় যৌতুকের দাবি না থাকলেও বিয়ের পর প্রথমে এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে সে সময়ে ৫০ হাজার টাকা দেয়ার পর আবারও ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করা হয়।

এদিকে যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় স্বামী ওমর ফারুক তার স্ত্রী মুক্তা খাতুন ও শিশু সন্তানের ওপর নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। অনেক চেষ্টা করেও তাদেরকে আর বাড়িতে না নেয়ায় মুক্তা খাতুন বাদী হয়ে মেহেরপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে ২০১৮ সালের যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয় ওমর ফারুক, তার ভাই আব্দুর রশিদ, শ্বাশুড়ি খাদিজা খাতুন এবং আব্দুর রশিদের স্ত্রী সেলিনা খাতুনকে। এদিকে ধার্যকৃত দিনে তিন আসামি আদালতে উপস্থিত হলেও আব্দুর রশিদ অনুপস্থিত থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। মামলার বাদী মুক্তা খাতুন জানান, তার স্বামী প্রতিবন্ধী হওয়ায় তার বড় ভাই আব্দুর রশিদকে দিয়ে নির্যাতন চালানো হতো।

 

Comments (0)
Add Comment