শিশু তৌফিকের চিকিৎসায় বড় বাধা যখন টাকা!

স্টাফ রিপোর্টার: ট্রাকের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে চুয়াডাঙ্গার হাটকালুগঞ্জ এলাকার শিশু তৌফিক। অর্থের অভাবে একপ্রকার বিনা চিকিৎসায় ভুগছে সে। বর্তমানে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। গুরুতর জখম তৌফিককে নীবিড় পর্যবেক্ষণে (আইসিইউ) রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। তবে দরিদ্র আব্দুস সালামের পক্ষে ছেলেকে আইসিইউতে রাখার দৈনিক খরচ বহন করা অসম্ভব। ছেলের সুচিকিৎসার স্বার্থে ওই দুর্ঘটনার ঘটনায় গতকাল বুধবার চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় অভিযোগ দাখিল করেন আব্দুস সালাম।
চুয়াডাঙ্গার হাটকালুগঞ্জ এলাকার আবেদ আলীর ছেলে আব্দুস সালাম জানান, গত রোববার সকাল ৯টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে শহরের দিকে যাচ্ছিলো ছেলে তৌফিক (১৩) সার্কিট হাউসের কাছে পৌঁছুলে বেপরোয়া গতিতে দর্শনার দিকে যাওয়া শাদা রঙের একটি ট্রাক তৌফিককে সজোরে ধাক্কা দেয়। রাস্তায় ছিটকে পড়ে তৌফিক ট্রাকের চালকও ট্রাক নিয়ে দ্রুত দর্শনার দিকে চলে যান। পরে তৌফিককে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ওইদিনই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসক।
দরিদ্র কৃষক আব্দুস সালাম বলেন, দুর্ঘটনার দিন থেকে ছেলে রাজশাহীতে রয়েছে। ডাক্তাররা বলেছেন, তৌফিককে আইসিইউতে রাখতে হবে। প্রতিদিন খরচ হবে ১৫ হাজার টাকা। আমার পক্ষে ওই খরচ বহন করা সম্ভব না। এলাকার লোকজন কিছু টাকা তুলে দিয়ে আমার ছেলের চিকিৎসায় সহযোগিতা করেছে। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার ঘটনায় গতকাল বুধবার চুয়াডাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি। সিসি ক্যামেরা দেখে যদি শাদা রঙের ওই ট্রাকটি শনাক্ত করা যায়, ট্রাকচালক মালিকের পক্ষ থেকে যদি ছেলের চিকিৎসার খরচটাও দিতো, তাহলে আমার একমাত্র ছেলেটা বেঁচে যেতো।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান বলেন, বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তবে ট্রাক বা ট্রাকচালকের কোনো তথ্য পাইনি। তদন্তপূর্বক ট্রাকটি শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে

Comments (0)
Add Comment