বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের ভেতর একটি মহল চেষ্টা করছে, গণতান্ত্রিক পক্ষের শক্তি যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে। তবে এসব ঝামেলা সহজেই সমাধান হতো, যদি তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া হতো।
বুধবার (২৭ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের মধ্যে একটা শক্তি গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে কাজ করছে। গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় আসুক, তারা চায় না। ১০ মাসের মধ্যে নির্বাচন দিলে আজকের সমস্যাগুলো হতো না।
সরকারকে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘অতি দ্রুত সনদ সংস্কারের কাজ শেষ করুন, জটিলতা না বাড়িয়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। এছাড়া কোনো বিকল্প নেই।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ইদানীং একটা বিষয় দেখে খারাপ লাগে, আজকালকার বেশিরভাগ মানুষ নষ্ট হয়ে গেছে। যেদিকে তাকাই সব প্রতিষ্ঠানেই খালি দুর্নীতি। সেদিন এক ব্যবসায়ী বলছিলেন, যে আগে যদি ১ লাখ টাকা দেওয়া লাগতো, এখন দেওয়া লাগে ৫ লাখ টাকা। আমাদের মননে যে পরিবর্তনটা আনার দরকার ছিল, সেটা হয়নি। রাজনৈতিক নেতারাও এসবের মধ্যে জড়িত হয়ে পড়ছেন। যেটা দেশের আরো বেশি ক্ষতি করছে। বাংলাদেশকে বাঁচানোর জন্য আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসার দরকার।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৭১’কে ভুলিয়ে দেওয়ার অনেক প্রচেষ্টা চলছে। কিন্তু তা সম্ভব নয়। কারণ আমরা আমাদের চোখের সামনে ভাইদের গলা কাটতে দেখেছি, মা বোনের ইজ্জত নিতে দেখেছি। যারা সেদিন সহযোগিতা করেছে, তারাই আজ বড় বড় কথা বলছে। আমাদের এখন অনেক বেশি সজাগ থাকতে হবে। যদি ভাবি সব ঠিক হয়ে গেছে, তাহলে এটা অনেক বড় ভুল।
তিনি বলেন, সরকারের কাছে বলতে চাই, সংস্কারের জটিলতা দ্রুত শেষ করেন। নির্বাচনের চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন এবং তার মধ্য দিয়ে জনগণের প্রতিনিধিত্বকে নিশ্চিত করুন। যারা ফায়দা নিতে চায়, তারা কেউ কিন্তু বসে নেই।