আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাথরুমে রোগীর আত্মহত্যা। নিজের ওড়না বাথরুমের জানালার গ্রিলের সাথে পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন রোগী মালেকা খাতুন। গত ১০ সেপ্টেম্বর মধ্য রাতে পেটের যন্ত্রণা সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেন তিনি।
জানাগেছে, উপজেলার হারদী কুয়াতলা গ্রামের গোলাম রসুলের স্ত্রী মালেকা খাতুন (৬০) দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছিলেন। গত ৮ সেপ্টেম্বর পেটে জ¦ালা যন্ত্রণা নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হারদী ভর্তি হন। ১০ সেপ্টেম্বর পৌনে ১২টার দিকে একই ওয়ার্ডের একটি রোগী বাথরুমে গিয়ে তার লাশ ঝুলতে দেখে চিৎকার করে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে অন্যান্য রোগীর চেঁচামেচিতে আত্মহত্যার বিষয়টি জানাজানি হয়। এসময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মালেকা খাতুনের লাশ উদ্ধার করে। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার আলমডাঙ্গা থানা পুলিশকে সংবাদ প্রদান করেন। এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হাসপাতালের ডিউটি অফিসার ডাক্তার মাসুদ রহমান বলেন, ৮ তারিখে পেটে ইনফেকশন ও মানসিক অস্তিরতা নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয় মালেকা খাতুন। গত দু’দিন ধরে তার চিকিৎসা চলছিলো। শুক্রবার রাত পৌনে ১২টায় জানতে পারি মালেকা খাতুন বাথরুমে নিজের উড়না গ্রিলে পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার সাথে তার পরিবারের কোন লোক থাকতো না।
এদিকে মালেকা খাতুনের স্বামী অভিযোগ করে বলেন, গতপরশু শুক্রবার বিকাল থেকে আমার স্ত্রীর পেটে যন্ত্রণা বৃদ্ধি হয়। ডাক্তার ও নার্সদের জানালে তারা স্যালাইন পুশ করেন। তবুও তার জ¦ালা যন্ত্রণা কমেনি। রাত ১১ টার দিকে তার স্যালাইন শেষ হলে তা খোলার জন্য আমি ৩ বার নার্সদের ডাকতে গেছি। একবারও আসেনি। পরে আমি নিজে বেড থেকে আমার স্ত্রীকে তুলে নার্সদের রুমে নিয়ে স্যালাইন খুলিয়ে নিয়ে আসি। মহিলা ওয়ার্ডে পুরুষ থাকা নিষেধ। তাই আমার স্ত্রীকে বেডে রেখে আমি নিচে যাই। রাত পৌনে ১২টার দিকে জানতে পারি মহিলা ওয়ার্ডে একজন বাথরুমে গিয়ে আত্মহত্যা করেছে। দৌড়ে গিয়ে দেখতে পাই আমার স্ত্রী মালেকা খাতুন।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাথরুমে নারী রোগীর আত্মহত্যার ঘটনা জানার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সকালে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। পরিবারের লোকজনের কোন অভিযোগ না থাকায় সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ দাফনের জন্য হস্তাস্তর করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে তার দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়।