দামুড়হুদা আরামডাঙ্গার আব্দুল খালেক যেভাবে ঘুরিয়েছেন ভাগ্যের চাকা

রতন বিশ্বাস : গাভী গরুর দুধ বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন আরামডাঙ্গা গ্রামের হাজি আব্দুল খালেক। তিনি ২০০০ সালে নিজবাড়িতে দুটি গাভী নিয়ে খামার শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে গরুর সংখ্যা ৩০টি। প্রতিদিন প্রায় ৩০ লিটার দুধ বিক্রি করেন তিনি। দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের আরামডাঙ্গা গ্রামের মৃত কুদ্দুস মালিতার ছেলে আব্দুল খালেক। তিনি জানান, আমার দাদা, বাবা গরুর খামারের সাথে জড়িত ছিলেন। প্রথমে স্বল্প পরিসরে শুরু করলেও বর্তমানে দুই ভাই মিলে খামারটি বড় করেছি। সর্বমোট ৩০টি গরুর মধ্যে ১২টি গাভী গরু রয়েছে। প্রতিদিন যে দুধ পাওয়া যায় তা প্রতি লিটার ৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। বাজারের চায়ের দোকানের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি নিজ গ্রামসহ এলাকার বিভিন্ন গ্রামের লোকজন বাড়িতে এসে দুধ নিয়ে যায়। এছাড়াও বাড়ির সামনে এসে অনেকেই বোতল বা কৌটায় করে দুধ নিয়ে যান। এলাকায় আমাদের গরুর দুধের বেশ চাহিদা। দাম নিয়েও সন্তুষ্ট। তিনি বলেন, গরু পালনে বিচালি, খৈল, ভূষি, ঘাস খাওয়ানো এবং পরিচর্যায় প্রতিদিন গরুর পেছনে প্রচুর টাকা ব্যয় করতে হয়। বিশেষ করে বিচালি কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। মহামারী করোনার কারণে সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেছে। এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছি। বিগতদিনের প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি জানান, মাত্র দুটি গরু থেকে আজ আমার এতোগুলো গরু। নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছি। আমি ও আমার ভাই ও একজন কর্মচারী নিয়ে সারাদিন খামারের পেছনে ব্যস্ত থাকি। ৫ বিঘা জমিতে ঘাস চাষ করেছি। গরুর গোবর থেকে জৈব সার তৈরি করে নিজের জমিতে ব্যবহার করে থাকি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমান সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নেন। তারই দিক নির্দেশনায় চলে আমার খামার। গরু অসুস্থ হলে তিনি নিজেই চলে আসেন আমার খামারে। সরকারি সুযোগ সুবিধা যদি ভালো মতো পাওয়া যেতো; তাহলে খামারটি আরও বড় করা যেতো।

Comments (0)
Add Comment