স্টাফ রিপোর্টার:বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ- বিআরটিএ চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ে সহকারি পরিচালক না থাকায় এ দপ্তরের সেবার মান মুখ থুবড়ে পড়েছে। এতে নানাভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ গ্রাহকরা। এ অবস্থায় ফিটনেস, পারমিট হালনাগাদ ও নতুন গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করা যাচ্ছে না। প্রায় তিন মাস ধরে এ দপ্তরে অনেকটা অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ তিন মাসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনও বন্ধ রয়েছে। ফলে বাজেট পাশ হলেও বাজেট থেকে কোন খরচ করা যাচ্ছে না বলে জানা গেছে।
চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের শুরুর দিকে বিআরটিএ চুয়াডাঙ্গা সার্কেল অফিসে অতিরিক্ত দায়িত্ব পান কুষ্টিয়া সার্কেলের সহকারি পরিচালক (ইঞ্জি.) মো. জাহাঙ্গীর আলম। গত তিন জুলাই ঢাকায় বদলিজনিত কারণে তিনি চুয়াডাঙ্গা সার্কেলের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পান। তার স্থলাভিশিক্ত হন ওই সময়ে ঝিনাইদহের সহকারি পরিচালক (ইঞ্জি.) তানভীর আহমেদ। তিনি ঝিনাইদহের দায়িত্ব পালন করে চুয়াডাঙ্গায় সপ্তাহে একদিন অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতেন। সারা সপ্তাহের কাজ এক দিনে সম্পন্ন না হলে সেবাগ্রহীতারা বিড়ম্বনায় পড়েন। ঝিনাইদহের মিটিংসহ অন্যান্য ব্যস্ততার কারণে মাঝে মাঝে সারা সপ্তাহ তিনি চুয়াডাঙ্গায় আসতে পারতেন না। কিন্তু পদন্নতিজনিত কারনে গত ২৫ আগস্ট থেকে তিনিও স্থায়ীভাবে চুয়াডাঙ্গা অফিস ত্যাগ করেন। এতে মারাত্মক বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন সেবাগ্রহীতারা।
সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন মুক্তা ও বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, বর্তমানে এ দপ্তরে কোন সহকারি পরিচালক না থাকায় টিন মিসম্যাচের কারণে রাজস্ব খাতের ফিটনেস ফি জমা হচ্ছে না। প্রায় দুই মাস ধরে রুট পারমিট বন্ধ রয়েছে। ফিটনেস ও রুট পারমিটের জন্য রাস্তায় অহরহ কেস খাচ্ছে অনেক গাড়ি। এছাড়া দৈনন্দিন কাজের মধ্যে অপ্রুভালের অভাবে গ্রাহকরা ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স পাচ্ছে না। রাস্তায় চলতে তাদেরও অনুবিধা হচ্ছে। ভুক্তভোগিরা স্থানীয় অফিসে এসে চিৎকার চেচামেচি করে যাচ্ছে। এসব বিষয়ে পরিবহন মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সাথে যোগাযোগ করেন। জেলা প্রশাসকের আশ্বাস পেলেও কোন কাজ হয়নি। এ বিষয়ে বিভাগীয় পরিচালকের (ইঞ্জি.) ভূমিকা নিয়ে হতাশা প্রকশ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এ অবস্থায় দু’একদিনের মধ্যে বিআরটিএ চুয়াডাঙ্গা সার্কেলে একজন সহকারি পরিচালক (ইঞ্জি.) পদায়ন করে দৈনন্দিন কাজের ভোগান্তি নিরসনের দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়িত্বরতরা।