আধুনিক চাষ পদ্ধতিই বদলে দিতে পারে কৃষকের ভাগ্য

চুয়াডাঙ্গার বেগমপুরে কৃষক সমাবেশে জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান

নজরুল ইসলাম/ লাবলু রহমান: চুয়াডাঙ্গার বেগমপুর ইউনিয়নের কলোনিপাড়া মাদরাসা মাঠে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আবাদ সম্প্রাসারণ বিষয়ক কৃষক সমাবেশ। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে বেগমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক সহযাগিতায় এবং চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান। এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সাথে অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে জুড়ে আছে এদেশের কৃষি ও কৃষক। এদেশের যেসকল সোনার মানুষেরা দিনের পর দিন পরিশ্রম করে আমাদের সারাদেশের খাদ্যশস্যের জোগান দিয়ে থাকেন তারাই হলেন কৃষক। বাংলাদেশের আর্থিক কাঠামো হচ্ছে কৃষিভিত্তিক। আর কৃষি কাজ করে যার জীবিকা নির্বাহ করেন, তারাই হলেন কৃষক। কৃষককুলের হাড়ভাঙা পরিশ্রমে, ত্যাগে, ঘামে গড়ে উঠেছে এদেশের অর্থনীতি। দুঃখ দারিদ্র ,লাঞ্ছনা গঞ্জনা সহ্য করে তারা যেভাবে দেশের ও দশের সেবা করে যাচ্ছে তার তুলনা নেই। কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রমেই এদেশ ভরে উঠে ফসলের সমারোহ আর আমরা পায় ক্ষুধার অন্ন। কৃষকের উৎপাদিত কাঁচামাল বিদেশে রপ্তানি করে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ হয় বৈদেশিক মুদ্রায়, সম্ভব হয় শিল্পায়ন। তাই এদেশের অর্থনীতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো কৃষি ও কৃষক। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার কৃষক এবং কৃষিখাতকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে কৃষক স্বল্প জমিতে কিভাবে আধুনিক চাষ পদ্ধতি প্রয়োগ করে অধিক ফসল উৎপাদন এবং আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে তার জন্য কৃষি উপকরণসহ সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছে। আমাদের দেশে পেঁয়াজ হচ্ছে শীতকালীন চাষ। কৃষিতে বিপ্লব ঘটায় নানা পদ্ধতিতে শীতের ফসল গ্রীষ্মে চাষাবাদ হচ্ছে। বেগমপুরের কৃষক জালাল উদ্দিন তার দৃষ্টান্ত। নাসিক রেড এন ৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেয়াজ চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হতে চলেছে। দেশে এ সময়টা বিদেশ থেকে পেয়াজ আমদানি করতে হয়। ব্যাপক হারে এ পেয়াজের চাষ হলে কমে যাবে আমদানি নির্ভরতা। আলোচনার পূর্বে প্রধান অতিথি পেঁয়াজ চাষ দেখতে সরেজমিনে যান কৃষক জালালের জমিতে। কৃষক জালাল উদ্দিন জানান, কৃষি প্রশিক্ষণ নিতে পাবনায় গিয়েছিলাম। সেখান থেকেই এ পেঁয়াজ সম্পর্কে জানি এবং বীজ সংগ্রহ করি। বিঘাপ্রতি ৮০ মন ফলন হবে বলে আশা করছি। বর্তমানে এ পেঁয়াজের বাজার দর ৩০ টাকা কেজি। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে আলোচনা রাখেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূইয়া, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার তালহা জুবাইর মাসরুর, বেগমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন জোয়ার্দ্দার, সমাজ সেবক নবী চৌধুরী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বেগমপুর ইউপি সচিব ফয়জুর রহমান, ইউপি সদস্য কায়েস উদ্দিন, আলী কদর মেম্বারসহ সুধীবৃন্দ।

Comments (0)
Add Comment