আলমডাঙ্গা অফিস:আন্তর্জাতিক পডিয়াট্রি ডে উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও সচেতনতামূলক সেমিনার। বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে আলমডাঙ্গা ডায়াবেটিক সমিতির আয়োজনে সমিতির আব্দুল হামিদ ডায়াবেটিক ফুট কেয়ার ইউনিটে এই বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়।
দিনব্যাপী এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে শতাধিক রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা, পায়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়।
ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে রোগীদের চিকিৎসাপত্র প্রদান করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং ডা. আদনীন নাহার মৌনালী।
ডা. মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “আন্তর্জাতিক পডিয়াট্রি ডে উপলক্ষে আমরা মূলত পায়ের যত্ন, ডায়াবেটিক ফুট কেয়ার এবং সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলো সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে এই ক্যাম্পের আয়োজন করেছি। মানুষ সাধারণত পায়ের সমস্যাকে তুচ্ছ মনে করে, কিন্তু অনেক সময় এ ধরনের ছোট সমস্যা থেকেই বড় জটিলতা তৈরি হতে পারে। বিনামূল্যে চিকিৎসা ও পরামর্শ দিয়ে আমরা চাই মানুষ যেন নিজেদের স্বাস্থ্য সচেতনতা আরও বাড়ায়।” তিনি আরও বলেন, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের পায়ের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অবহেলা করলে তা সংক্রমণ ও অঙ্গহানির ঝুঁকি বাড়ায়। সচেতনতা ও নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এই ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।
ডা. আদনীন নাহার মৌনালী বলেন, “আজকের এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে বিভিন্ন বয়সের অনেক মানুষ এসেছেন, বিশেষ করে ডায়াবেটিস ও পায়ের ব্যথাজনিত রোগীরা। আমরা তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও পরামর্শ দিয়েছি। ভবিষ্যতে এ ধরনের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম আরও বিস্তৃতভাবে চালিয়ে যেতে চাই, যাতে সাধারণ মানুষ সহজেই চিকিৎসা পেতে পারে।”
আয়োজকদের প্রত্যাশা
আলমডাঙ্গা ডায়াবেটিক সমিতির প্রচার সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জানান, “আন্তর্জাতিক পডিয়াট্রি ডে উপলক্ষে আমরা মূলত পায়ের যত্ন, ডায়াবেটিক ফুট কেয়ার এবং সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলো সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে এই ক্যাম্পের আয়োজন করেছি। এই প্রথম আলমডাঙ্গায় এ ধরণের আয়োজন করা হয়েছে এবং আমরা এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। আশা করি প্রতি বছর আলমডাঙ্গা ডায়াবেটিক সমিতির মাধ্যমে এ ধরণের আয়োজন অব্যাহত থাকবে।”
ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে স্থানীয় চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন। আয়োজকরা জানান, এ ধরনের কার্যক্রম নিয়মিতভাবে আয়োজন করা হবে যাতে ডায়াবেটিস রোগীরা পায়ের জটিলতা সম্পর্কে সচেতন হতে পারেন।