মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নের কান্তপুর গ্রামে স্মার্টফোন কিনে না দেওয়াই পিতা-মাতার উপর অভিমান করে অষ্টম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। গতকাল শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়নার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
পারিবারিক সূত্রে জানাই, বেশ কিছুদিন ধরেই নূরতাজ স্মার্টফোন কিনে দেওয়ার জন্য বায়না ধরে। পিতা দিনমজুর হওয়ায় মোবাইল কিনে দিতে অপারগতা জানাই। গতকাল শনিবার দুপুরে সে গোসল সেরে নিজ ঘরে ঢোকে। ঘরে ঢোকার পর অনেক্ষণ কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরের ফাঁক দিয়ে স্কুল ছাত্রীর বড় বোন উঁকি দিয়ে দেখতে পাই, ঘরে আড়ার সাথে স্কুলছাত্রী ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছে। তার ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। প্রতিবেশিদের সহায়তায় ঘরের জানালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। সে আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নের কান্তপুর গ্রামের আজাদ মালিথার ছোট মেয়ে নুর তাজ (১৪)। সে নীলমণিগঞ্জ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমান ( পিপিএম ) মুন্সিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আলমগীর কবীর সঙ্গীও ফোর্স সহ লাশ উদ্ধারপূর্বক সূরতহাল রিপোর্ট করেন। পুলিশ জানাই স্কুল ছাত্রীর পিতার বিনা ময়না তদন্তে লাশ দাফনের অনুমতি চেয়ে আবেদনের প্রেক্ষিতে কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লাশ দাফনের প্রস্তুতি চলছিল।