স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার সাবেক এমপি প্রয়াত শহিদুল ইসলামের কন্যা কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সদস্য মিলিমা ইসলাম বিশ্বাস আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদী ও হারদী ইউনিয়নে পথসভা করেছেন। গতকাল সোমবার বিকেল থেকে ইউনিয়ন দুটি বিভিন্ন স্থানে পথসভায় বক্তব্য রাখেন। এ সময় তিনি বলেন, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ যে অন্যায় অবিচার সাধারণ মানুষের ওপর করেছে তা বাংলাদেশের মাটিতে আর করতে দেয়া হবে না। আমরা রাজপথে থেকে স্বৈরাচারের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেব। দেশ গঠনে প্রতিটি নাগরিকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে উঠতে পারে। তাই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় সন্ত্রাস, দুর্নীতি, দখলবাজ, চাঁদাবাজ মুক্ত একটি বাংলাদেশ গড়তে আমরা সবাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কেউ যদি দলের নাম ভাঙিয়ে কোনো চাঁদাবাজিতে কিম্বা কোনো অপকর্মে লিপ্ত হয়, তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করার অনুরোধ জানিয়ে মিলি আরও বলেন, তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফায় বাংলাদেশের সকল শ্রেণি পেশা মানুষের কথা উল্লেখ রয়েছে। রাষ্ট্র কাঠামো গঠনে এই ৩১ দফা বাস্তবায়ন হলে এর সুফল সকল জনগণ ভোগ করবে। তাই জনগণের মাঝে আমরা ৩১ দফা সম্পর্কে প্রচার করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা এদেশের জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। দেশের জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করেছিলো। মানুষের উপর অন্যায়, অত্যাচার জুলুম করে কেউ টিকে থাকতে পারে না শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে গিয়ে প্রমাণ করেছে। তিনি আরো বলেন, তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা দেশের মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ৩১ দফা মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার জন্য তিনি দেশের সকল বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজি আব্দুল খালেক, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আরঙ্গজেব বেল্টু, জেলা বিএনপির সাবেক যুব বিষয়ক সম্পাদক মো. মমিনুল ইসলাম, মুকুল বিশ্বাস, জেলা যুবদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন, পৌর যুবদল সদস্য আব্দুল মালেক, সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জেলা ছাত্রদল হাফেজ আব্দুল কাদির সোহান, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন ফরহাদ হোসেন, কামরুজ্জামান বকুল, আসাদুল হক, আমজাদ হোসেন, সাত্তার আলী, ঝন্টু মিয়া, কনক, আজিজ আহমেদ, আরিফ হোসেন, জজ, হাসিবুল হক, ইয়াকুব আলী, রেন্টু, মাসুম, জিন, স্বেচ্ছাসেবক নেতা আলমগীর হোসেন, রেজাউল ইসলাম, আশরাফুল, আশা মল্লিক, মতিউর রহমান সর্দার ও আত্তাপ আলী, শরিফুল ইসলাম, কালু, রানা, লিখন, মালেক, আবু, সালাম পারভেজ, সুমন, শিপন ওয়াসিম লালটু, রতন, ইসরাফিল, সুমন, হারুন, খায়রুল, নাসির, সাদ্দাম, সাত্তার, জহুরুল, সোহেল , রবিউল, বাদল, ফিরু প্রমুখ।