ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ও উপজেলার হাটবোয়ালিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াকুব আলি লাঞ্ছিত হয়েছেন। দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকার পর বিদ্যালয়ে যোগদান করতে গেলে এলাকার বিক্ষুব্ধ লোকজন তাকে মারধর করে বের করে দেন। ইয়াকুব আলি ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে গাঢাকা দেন। সেই থেকে দেড় বছরেরও বেশি সময় তিনি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত আছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার আকস্মিক সকালে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শরিফুজ্জামান লাকি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইয়াকুব আলি আকস্মিক বিদ্যালয়ে আসেন। এ সময় বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সদস্য ইকরাম আলী উপস্থিত ছিলেন। ইকরাম আলী প্রধান শিক্ষকের কাছে বিদ্যালয়ে আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের দোহাই দেন। এসময় তার উপস্থিতি টের পেলে কিছু লোকজন ছুটে এসে তাকে মারধর করে বিদ্যালয় থেকে তাকে বের করে দেন। বিদ্যালয়ের,
অ্যাডহক কমিটির সদস্য ইকরাম আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে ইয়াকুব আলি বিদ্যালয়ের টাকা পয়সা লুটপাট করেছেন। অসংখ্য মানুষ তার নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছে। তার প্রতি এলাকার জনগণের যে রাগ-ক্ষোভ রয়েছে তা থেকেই এমনটি হয়েছে। তাকে দ্রুত সরিয়ে না দিলে আরও বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারত। স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ইয়াকুব মাস্টারের জায়গা হাটবোয়ালিয়ার মাটিতে হবে না।’ এলাকার অনেকেই মন্তব্য করেছেন, বিএনপি ও জামায়াতের কতিপয় নেতাদের হাত করেই তিনি বিদ্যালয়ে যোগদানের চেষ্টা করতে এসেছিলেন। অন্যথায় হাটবোয়ালিয়ার মাটিতে পা রাখার সাহস তার হতো না। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নজর রাখছে। এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার ইমরুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তিনি বিনা ছুটিতে এ যাবৎ বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। অনেক অভিযোগ তদন্তাধীন আছে। তিনি এভাবে কাউকে না জানিয়ে বিদ্যালয়ে যোগদান করতে গিয়েছেন বলেই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে।