আলমডাঙ্গায় ৯ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার : ধর্ষক সোহেল গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গার পল্লীতে এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ঘুঘু পাখি দেখানোর প্রলোভন ও চকলেট কেনার টাকা হাতে ধরিয়ে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে ওই শিশুকে ধর্ষণ করা হয়। অভিযুক্ত ধর্ষক মো. সোহেলকে গ্রেফতার করছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মো. সোহেল আলমডাঙ্গা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মৃত মওলা বক্সের ছেলে এবং একই উপজেলার পাঁচকমলাপুর গ্রামের আবদুর রহমানের ঘরজামাই। ধর্ষণের শিকার প্রথম শ্রেণির ছাত্রীকে (৯) শনিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার ডাক্তারি পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাসূত্রে জানা গেছে, গত ৪ নভেম্বর বিকেল ৪টার দিকে প্রতিবেশীদের বাড়ি থেকে ফিরছিলো ওই শিশু। ফেরার পথে একটি বাগানের কাছে তাকে থামায় ঘরজামাই মো. সোহেল (৪০)। শিশুর হাতে চার টাকা দিয়ে চকলেট খাওয়ার জন্য বলে। এ সময় ঘুঘু পাখি দেখানোর নাম করে পানবরজের আড়ালে জেলেপান খাতুনের পরিত্যক্ত ঘরে ওই শিশুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে সোহেল। পরে তাকে শাসিয়ে দেয়া হয় সে যেন ঘটনা কাউকে না বলে। ঘটনা কাউকে জানালে তাকে ও তার মাকে খুন করা হবে বলে হুমকি দেয় সোহেল। পরদিন ধর্ষণের শিকার শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। শুক্রবার শিশু গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং হাঁটাচলা করতে গেলে ব্যথায় কাতর হয়ে পড়ে। শিশুর মা জানতে চান কী হয়েছে? ওইদিন সন্ধ্যায় শিশুর মা তার পায়জামায় রক্ত দেখে ঘটনা জানতে চান। ধর্ষণের শিকার শিশু কাঁদতে কাঁদতে মায়ের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেয়। শনিবার সকালে শিশুকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওইদিনই দুপুরে শিশুর চাচা বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। দুপুরে শিশুর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বেলা ৫টার দিকে ধর্ষক সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে থানার ওসি আলমগীর কবির নিশ্চিত করেছেন। ওসি জানান, ‘গ্রেফতারকৃত সোহেল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।’

Comments (0)
Add Comment