ইভিএমে দুই উপ নির্বাচন : নজরে থাকবে ভোট পোলের হার

স্টাফ রিপোর্টার: করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সাত মাসের ব্যবধানে আরও দুটি সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচন হতে যাচ্ছে ইভিএমে, যেখানে ভোটের হার থাকবে আগ্রহের বিষয়। ডেমরা, যাত্রাবাড়ী ও কদমতলীর আংশিক এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-৫ এবং রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগা-৬ আসনে ভোট শুরু হবে শনিবার সকাল ৯টায়, একটানা চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। ঢাকার ভোটে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ পাঁচ দল এবং নওগাঁয় তিন দলের প্রার্থী থাকলেও মহামারীর মধ্যে ভোটের সেই উত্তাপ বা ভোটারদের আগ্রহ- কোনোটাই সেভাবে নেই। নির্বচন কমিশন বলছে, যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে ভোট নেয়া যায়, তার সব ব্যবস্থা হয়েছে। শুক্রবারই কেন্দ্রে কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন এবং অন্যান্য সরঞ্জাম পৌঁছে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি ভোটকক্ষে একটি করে ইভিএম থাকছে। প্রতিটি কেন্দ্রে থাকছে কারিগরি দল। কেন্দ্রে সবার জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী থাকবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার বার্তা নিয়ে কেন্দ্রের বাইরে ব্যানারও থাকবে।

ঢাকার উপ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জি এম সাহতাবউদ্দিন বলেন, ‘ভোটের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। শেষ মুহূর্তে কারো কাছ থেকে লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। আইন শৃঙ্খলাবাহিনী মাঠে রয়েছে। আশা করি, শান্তিপূর্ণ ভোট হবে।’ আর নওগাঁর উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোটের সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রতিটি ভোটকক্ষের জন্য অতিরিক্ত ইভিএমও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কোনোভাবে কেনো কক্ষে ত্রুটি বা সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে তা রিপ্লেস করা বা ত্রুটিমুক্ত রাখার বিষয়ে প্রস্তুতি রয়েছে আমাদের।’

আগামী ২১ মার্চ ঢাকা-১০ আসনের উপ নির্বাচনে মাত্র ৫ শতাংশ ভোট পড়েছিলো। যদিও মহামারীর মধ্যে ঢাকার বাইরে ব্যালট পেপারে উপ-নির্বাচনে ৫৫ থেকে ৬৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। সে কারণে এবার দুই উপ নির্বাচনে ইভিএমে ভোটের হার কেমন হয় তা নিয়ে নজর থাকবে পর্যবেক্ষকদের। সাত মাস আগে ইসির ‘যথেষ্ট প্রস্তুতি’ থাকলেও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও নেতিবাচক প্রভাবের কারণে উপস্থিতি কম হয়েছিলো বলে ধারণা প্রধান নির্বাচন কমিশনা কে এম নুরুল হুদার। এবার পরিস্থিতি তেমন হবে না বলে তার প্রত্যাশা। প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতা থাকলে ভোটার উপস্থিতিও বাড়ে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, ‘মাঠে ব্যাপকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন যদি না হয়, তখন ভোটারদের অনীহা থাকে।’ ঢাকা-৫ উপ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার জি এম সাহতাবউদ্দিনেরও বিশ্বাস, শনিবারের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ‘তুলনামূলকভাবে বাড়বে’।

ভোটারদের কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেবেন। নিরাপত্তা বলয় সাজিয়েছি। আইনানুগ, গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। কেন্দ্রে আসবেন, পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বিঘেœ বাসায় ফিরে যাবেন।’

 

Comments (0)
Add Comment