একমাত্র উপার্জনের ইজিবাইকটি হারিয়ে কাঁদছেন রিপন

আফজালুল হক,
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল তত্ত্বর থেকে চালক রিপন আলীকে (২৫) নেশা জাতীয় কিছু পান করিয়ে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক নিয়ে চম্পট দিয়েছে দুই প্রতারক। সদর হাসপাতালের মধ্যে ২৪ ঘন্টা পুলিশ নিয়োজিত থাকলেও তাদের অগচরে এমন ঘটনায় হতভাগ অন্যান্য ইজিবাইক চালকেরা৷ সোমবার (৩০ আগস্ট) দুপুর ২ টার দিকে সদর হাসপাতাল তত্ত্বরে এঘটনা ঘটে। চালক রিপন আলী চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চিৎলা গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে।
চালক রিপন আলী বলেন, সোমবার সকালে দুজন যাত্রীবেশে রোগী দেখার কথা বলে আমার ইজিবাইক ভাড়া করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আসেন তারা। এরপর হাসপাতাল চত্ত্বরের মধ্যে কমল পানীয় (ফান্টা) খেতে দেয় আমাকে। খাওয়ার পরপরই আমার মাথা চিনচিন এবং মাথা ঘোরা শুরু হয়। সেই সুযোগে দুই প্রতারক আমার ইজিবাইকটি নিয়ে চলে যায় বলে কাদতে থাকে রিপন আলী। পরে স্থানীয়রা রিপনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাজিদ হাসান বলেন, রিপনকে নেশা জাতীয় কোন কিছু খাওয়ানো হয়েছে৷ তাকে ওয়াশ করা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা বলেন, সদর হাসপাতালের মধ্যেই রিপন আলীকে কমল পানীয়’র সাথে নেশা জাতীয় ওষুধ  পান করিয়ে তার ইজিবাইকটি নিয়ে চলে গেছে প্রতারকরা। আমরা অনেক খোজাখুজি করেও ইজিবাইকটি পাওয়া যায়নি। তবে রিপন কথা বলতে পারলেও একেক সময় একেক কথা বলছেন। হাসপাতালে পুলিশ থাকা সত্ত্বেও এমন ঘটনা কেন ঘটলো এই বিষয়ে জানতে চাইলে তারা কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। অপরদিকে স্থানীয়রা বলছেন, ২৪ ঘন্টা পুলিশ নিয়োজিত থাকলেও হাসপাতালে প্রায়ই রোগী ও স্বজনদের টাকা, স্বর্ণালঙ্কার এবং মোবাইল ফোন চুরির ঘটনা ঘটছে। প্রশাসনকে বিষয়টি জানানোর পর সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সনাক্ত করলেও তাদের টিকিটিও ছুতে পারছে না। ফলে হাসপাতালে থাকা রোগী ও স্বজনরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন৷
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি৷  প্রতারকদের চিহ্নিতের চেষ্টা চলছে। খুব শীঘ্রই ইজিবাইকটি উদ্ধার করে প্রতারকদের আইনের আওতায় আনা হবে৷
Comments (0)
Add Comment