কালীগঞ্জ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ১৭ বছরের কিশোর মেহেদী হাসানের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া ৪০ বছর বয়সী গৃহবধূ তাসলিমা খাতুনকে ১৩ দিন পর কুষ্টিয়া থেকে আটক করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার কুষ্টিয়া থানা পুলিশ তাদের আটক করে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। ঘটনার সূত্রপাত গত ১২ জুলাই সকালে। পার্শ্ববর্তী বাবরা গ্রামের গৃহবধূ তাসলিমা খাতুন প্রতিবেশী কিশোর মেহেদী হাসানের সঙ্গে পালিয়ে যান। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তাসলিমা খাতুন পালিয়ে যান প্রতিবেশী ১৭ বছর বয়সী মেহেদী হাসানের সঙ্গে। মেহেদী সম্পর্কে তাসলিমার নাতি-সমতুল্য। ছোটবেলা থেকেই মেহেদী তার নানাবাড়িতে বড় হলেও স্থায়ীভাবে তার পরিবারের ঠিকানা বাবরা গ্রামেই। পার্শ্ববর্তী বাড়ির বাসিন্দা হওয়ায় নিয়মিত যোগাযোগ ছিলো দুজনের মধ্যে। সেই ঘনিষ্ঠতাই একপর্যায়ে পরিণত হয় পরকীয়ায়। তাদের নিখোঁজ হওয়ার পর দুই পরিবারের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে তাদের কুষ্টিয়া শহর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর শুক্রবার সকালে কালীগঞ্জ থানায় দুই পরিবারের উপস্থিতিতে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় তাসলিমার স্বামী মান্নান মিস্ত্রি তার স্ত্রীকে ফেরত নিতে সম্মতি দেন। তবে মেহেদীর পরিবার তাসলিমাকে কোনোভাবেই গ্রহণ করতে রাজি হয়নি। একপর্যায়ে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাসলিমাকে তার স্বামীর জিম্মায় এবং মেহেদীকে মামা আজিজুর রহমানের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়। এসময় তাসলিমা ও মেহেদী উভয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েন। স্থানীয় সমাজসেবক ওসমান বিশ্বাস বলেন, ‘দুই পরিবারের সম্মতিতে সুষ্ঠু বিচার ও আলোচনার মাধ্যমে উভয়কে পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’