কেরু থেকে অন্যত্র চিনিকলগুলোতে বদলির হিড়িক ফের ৩জনসহ চারমাসে ৬ জনের বদলি

দর্শনা অফিস: ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত কেরুজ চিনিকল কমপ্লেক্সের স্মরণকালে রেকর্ড ভাঙ্গা শুরু হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে। একের পর এক কেরু থেকে দেশের বিভিন্ন চিনিকলে ঘটছে বদলির ঘটনা। এবার একই দিন ৩ জনকে বদলি করা হয়েছে বিভিন্ন চিনিকলে। গত ৪ মাসের ব্যবধানে ৬ জনকে করা হলো বদলি। শ্রমিক-কর্মচারিদের মধ্যে বিরাজ করছে বদলি আতঙ্ক। গত পরশু সোমবার বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চিফ অব পার্সনাল শাহরীনা তানাজ ও মহাব্যবস্থাপক (সংস্থাপন) মাহমুদ ইসমাইল স্বাক্ষরিত পত্রে কেরুজ ডিস্টিলারি বিভঅগের ডিএস গোডাউনের ইনচার্জ একেএম সাজেদুর রহমান তুফানকে ঠাকুরগাও চিনিকলের জ্যেষ্ট করণিক (প্রসাশন) পদে, কেরুজ বরিশাল বন্ডেড ওয়ার হাউজের ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেনকে নাটোর সুগার মিলের জ্যেষ্ট করণিক ও কেরুজ পাবনা বন্ডেড ওয়ার হাউজের ইনচার্জ আলমগীর রহমানকে নর্থবেঙ্গল সুগার মিলের (প্রসাশন) বিভাগের জ্যেষ্ট করণিক পদে বদলি করা হয়েছে। এ ছাড়া গত ৫ জানুয়ারি কেরুজ পারবতিপুর বন্ডেড ওয়ার হাউজের ইনচার্জ, শ্রমিক নেতা সৌমিক হাসান রূপমকে বদলি করা হয় বন্ধ চিনিকলে পঞ্চগড়ে। ২৪ ফেব্রুয়ারি কেরুজ ডিস্টিলারি বিভাগের সেলস অফিসার, সহকারি ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) জহির উদ্দিনকে বদলি করা হয়েছে রাজশাহী চিনিকলে। এ ছাড়া কেরুজ ডিস্টিলারি বিভাগের ফরেণ লিকার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুনকে বদলি করা হয়েছে ঠাকুরগাও চিনিকলে। তবে বদলি তালিকায় এখনো অনেকেই রয়েছে বলেও যেমন রয়েছে আলোচনা, তেমনি এ আতঙ্কে ভুগছেন সর্বস্থরের শ্রমিক-কর্মচারী। বেশ কয়েকজন শ্রমিক-কর্মচারী বলেন, সরকারি চাকরি বদলি প্রথা থাকবে তা স্বাভাবিক। তবে কেরুজ চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারিদের বদলি ঘটনা এ প্রথম ঘটলো। মিল প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে বলেও শোনেননি শ্রমিক-কর্মচারিদের কেউ। ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা আরও বলেন, এ সুযোগ নিজেরাই করে দিয়েছি। যথারীতি সময় মতো শ্রমিক-কর্মচারি ইউনিয়নের নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠন হলে ব্যবস্থাপনা পরিষদ এ ধরণের সুযোগ পেতোনা। নিজেদের মধ্যে কামড়া-কামড়ির সুযোগেই এমনটা ঘটছে। কারণ এখন শ্রমিক-কর্মচারিরা অভিভাবক বিহীন। ন্যায্য অধিকার আদায়সহ শ্রমিক-কর্মচারিদের পক্ষে কথা বলার কেউ নেই। নিজেরা সুধরে না নিলে সামনের দিনগুলোতে কেরুজ চিনিকলের বহু চেনা মুখ বদলি হবে বিভিন্ন চিনিকলে। বদলি বিষয়ে মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সাথে কথা বললে তিনি জানান, সিদ্ধান্ত সদর দফতরের। সদর দফতরের কর্মকর্তারা যা ভাল মনে করছেন তা করছেন। আমি নিজেও সদর দফতরের অধিনস্থ।