কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে বিদায় আষাঢ়ে দিনভর বৃষ্টিতে নি¤œাঞ্চল প্লাবিত। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বেড়েছে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ। শহরে সীমিত আকারে যানবাহন চলাচল করলেও মানুষের উপস্থিতি খুবই কম। এতে করে নিম্নআয়ের মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে।
জানা গেছে, আষাঢ় মাসের প্রথম থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। এর পর থেকে টানা বৃষ্টি । দুএকদিন দম নিয়ে শুরু হয় আবার বৃষ্টি। কখনো মুষলধারে আবার কখনো থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। গত সোমবার টানা বর্ষণে শহরের বেশ কয়েকটি সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতার সষ্টি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় সরেজমিনে পৌর শহরে ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে যানবাহন খুবই কম। বৃষ্টির মধ্যে অল্পকিছু রিকশা ও ইজিবাইক চলাচল করছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণেই স্থবিরতা বিরাজ করছে জনজীবনে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না অনেকেই। শুধু জীবিকার তাগিদে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বের হয়েছেন রিকশাচালক, শ্রমিক ও খেটে খাওয়া নি¤œ আয়ের মানুষেরা। রাস্তাঘাটে মানুষ কম থাকায় তারাও পড়েছে চরম বিপাকে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গুলো খোলা থাকলেও ক্রেতা নেই। অনেকেই ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন।
ইজিবাইক চালক শরিফুল ইসলাম বলেছেন, আষাঢ় মাস শুরু থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাটে মানুষ কম। আমরা বৃষ্টির মধ্যে জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে রাস্তায় বের হয়েছি কিন্তু যাত্রী পাচ্ছি না। দিনমজুর রিপন বলছেন, আমি গাড়ি লোড এর কাজ করি। বৃষ্টির কারণে আমরা কাজে যেতে পারছি না। সমিতি হতে লোন নেওয়া আছে সাপ্তাহিক কিস্তি। সংসার চালাতে যেমন কষ্ট হচ্ছে। তেমনি কিস্তির জন্য রয়েছি দুশ্চিন্তায়। রিক্সাচালক জাহাঙ্গীর আলম( জানা) বলেন, বৃষ্টির কারণে শহরে তেমন লোকজন নেই। তারপরও ছাতি মাথায় দিয়ে রিকশাথ ওপর বসে আছি প্যাসেঞ্জার নাই।
এদিকে উপজেলা নি¤œাঞ্চলের ফসলি ক্ষেত বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে অধিকাংশ মাঠ। এতে করে দুশ্চিন্তায় পড়েছে আমনধান , সবজি ও ফল চাষিরা। ড্রাগন চাষি ফারুক বলেন, অতিবৃষ্টিতে আমার ফসলের জমিতে হাঁটু পানি। এরপরও বৃষ্টি হলে মাঠের ফসল উৎপাদন চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে কৃষি অফিস জানিয়েছে, বৃষ্টির এই পানি স্বল্প সময় জমে থাকবে তাই আমন এবং অন্যান্য চাষে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না।