কোরবানিকে সামনে নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় পালন হয়েছে প্রায় ৩৯ হাজার গরু ১ লাখ ১০ হাজার ছাগল

করোনার কারণে খামারিদের বড় ধরনের লোকসানের শঙ্কা : দিন কাটছে দুশ্চিন্তায়
আনোয়ার হোসেন: করোনার কারণে পশুপালন খামারিরা বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কায় দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের অধিকাংশেরই শঙ্কা, করোনার কারণে আসন্ন কোরবানির বাজারে গরু, ছাগল ও ভেড়ার দাম প্রত্যাশিত হবে না। অথচ পশুখাদ্যের দাম দীর্ঘদিন ধরেই চড়া। বেশি দাম দিয়ে খাদ্য কিনে খাওয়ানোর পাশাপাশি বাড়তি পরিচর্যায় গরু ছাগল পালন করে বিক্রির সময় দাম না পেলে বড় ধরনের লোকসান হবে।
চুয়াডাঙ্গায় এবারও অন্যান্যবারের মতো কোরবানিকে সামনে রেখে ঘরে ঘরে গরু, ছাগল, ভেড়া ও গাড়ল পালন করা হয়েছে। স্থানীয় চাহিদার প্রায় দ্বিগুণ পশুপালন হয় চুয়াডাঙ্গায়। পালিত পশু কোরবানির বাজারে বিক্রির সময় ভালো দাম না পেলে যেমন পশুপালনে আগ্রহ হারাবেন অনেকে, তেমনই ভবিষ্যতে মাংসের সংকট তীব্রতর হয়ে উঠতে পারে। সে কারণে সরকার ইতোমধ্যেই ভারত থেকে গরু আনা বন্ধেও সরকার বাস্তবমুখি পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে এমনিতেই দাম বাড়ার কথা। কিন্তু সর্বক্ষেত্রেই দুশ্চিন্তার করাণ হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা। করোনার কারণে শেষ পর্যন্ত গরু, ছাগল ও ভেড়ার দাম কেমন হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই।
চুয়াডাঙ্গা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এইচএম শামিমুজ্জামান বলেছেন, চুয়াডাঙ্গা জেলায় মোট মাংসের চাহিদা ৪৮ হাজার ৮৪০ মেট্রিকটন। উৎপাদন হয় ৮৮ হাজার ৯২৪ মেট্রিকটন। জনপ্রতি ১২০ গ্রাম হিসেবে এ চাহিদা নিরূপণ করা হয়। জেলায় এবারও গতবারের মতো গরু, ছাগল ও ভেড়া পালন হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদরে ১ হাজার ৭৪২, দামুড়হুদায় ১ হাজার ৩১৫, জীবননগরে ১ হাজার ৭৫০ ও আলমডাঙ্গায় ২ হাজার ৫৩০টি খামার রয়েছে। কোরবানির হাটে বিক্রির লক্ষ্য নিয়ে পালন করা গরুর পরিমাণ জেলায় ৩৮ হাজার ৮৪৫টি। ছাগল পালন হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার। ভেড়া পালন হয়েছে ৮০৫টি। এসব বর্তমানে খামারিদের খামারেই মজুদ রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার খামারিদের মধ্যে আকাশ আলী, জাহাঙ্গীর আলম, আকিক উদ্দিন, কামালসহ অনেকেই অভিন্ন ভাষায় বলেছেন, পশুখাদ্যের দাম দীর্ঘদিন ধরে চড়া। বেশি দামে খাবার কিনে বাড়তি লোকবল কাজে লাগিয়ে পশু পালন করতে হয়। কোরবানির হাটে প্রত্যাশিত মূল্যে তা বিক্রি করতে না পারলে তা খামারে রাখাও অসম্ভব হয়ে পড়ে। ফলে বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কায় এবার খামারিদের প্রায় সকলে। সকলের মধ্যে একই চিন্তা- করোনা করোনা।

Comments (0)
Add Comment