গাংনীর ধলা মাঠে নির্জন পাটক্ষেতে অজ্ঞাত নারীর গলিত মরদেহ উদ্ধার

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধলা মাঠের একটি পাট ক্ষেত থেকে অজ্ঞাত নারীর গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গাংনী থানা পুলিশের একটি দল স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে মরদেহ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে পুলিশর পক্ষ থেকে।
কঙ্কালসার মরদেহের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া পোশাক দেখে তাকে নারী বলে শনাক্ত করছে পুলিশ। কৌশলে তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন মরদেহ উদ্ধারকারী পুলিশ কর্মকর্তারা।
গাংনী থানার পরিদর্শক তদন্ত সাজেদুল ইসলাম মরদেহ উদ্ধারের পরে জানান, রাধাগোবিন্দপুর ধলা গ্রামের কৃষক বেল্টু মিয়া গতকাল সকালের দিকে ক্ষেতে গিয়ে লাশের গন্ধ পেয়ে মাঠের কৃষকদের সাথে নিয়ে মরদেহের সন্ধান পায়। এক পর্যায়ে তার ক্ষেতের মাঝামাঝি গলিত এ মরদেহ দেখতে পান কৃষকরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় গাংনী থানা পুলিশের একটি দল। প্রয়োজনীয় তদন্ত ও আলামত সংগ্রহ শেষে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তে প্রেরণের প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করতে সন্ধ্যা প্রায়। তাই মরদেহ রাখা হয়েছে গাংনী থানায়। আজ বুধবার সকালে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা করবে পুলিশ। অপরদিকে নিহতের পরিচয় ও হত্যাকা-ের সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশের কর্মকর্তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধলা গ্রাম থেকে মরদেহ উদ্ধারের স্থানটি প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরত্বে। পুরো মাঠেই প্রায় পাট ক্ষেত। এতে বেশ নির্জন এলাকা হিসেবে বিবেচিত। ক্ষেতের পাট বেশ উঁচু হয়েছে। ফলে পাট ক্ষেত পরিচর্যার তেমন কাজও নেই কৃষকদের। তাই মাঠে এখন কৃষকদের আনাগোনা কম। এসব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে দুস্কৃতিকারীরা নির্জন পাট ক্ষেতে নারীকে হত্যা করে মরদেহ ফেলে গেছে বলে ধারণা পুলিশের।
এ প্রসঙ্গে গাংনী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম বলেন, মরদেহ পড়ে থাকার পারিপাশ্বিকতা ও অন্যান্য আলামত বিশ্লেষণ করে এটি হত্যাকা- বলে প্রতীয়মান। তাই হত্যা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। ময়নাতদন্তের সময় ডিএনই পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে ফরেনসিকে পাঠানো হবে। ডিএনই পরীক্ষা রিপোর্ট পেলে পরিচয় শনাক্ত সহজ হবে।

Comments (0)
Add Comment