স্টাফ রিপোর্টার:ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এবং পিকেএসএফের সহায়তায় “নিরাপদ মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার উন্নয়ন” শীর্ষক উপ-প্রকল্পের আওতায় দিনব্যাপী পণ্য ও প্রযুক্তি প্রদর্শন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার চুয়াডাঙ্গা জেলার মুক্ত মঞ্চ চত্বরে এ মেলার আয়োজন করা হয়।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শারমিন চৌধুরী আক্তার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ শাহাবুদ্দিন, পিকেএসএফের ম্যানেজার (প্রোগ্রাম) ও নিউট্রিশন স্পেশালিস্ট জনাব কপিল কুমার পাল এবং চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি নাজমুল হক স্বপন।
প্রধান অতিথি শারমিন আক্তার ফিতা কেটে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পরে তিনি অন্যান্য অতিথিবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে স্থাপিত বিভিন্ন উদ্যোক্তার স্টল পরিদর্শন করেন।
স্টল পরিদর্শন শেষে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে উদ্বোধনী আলোচনা সভা শুরু হয়। অনুষ্ঠানে “খামার থেকে থালা” ভ্যালু চেইন বিষয়ক একটি উদ্বোধনী ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের গভর্নিং বডির সহ-সভাপতি অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপ-পরিচালক শারমিন আক্তার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ শাহাবুদ্দিন, পিকেএসএফের ম্যানেজার কপিল কুমার পাল এবং চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি নাজমুল হক স্বপন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন ভার্মি কম্পোস্ট উদ্যোক্তা ইরফান আলী ও তৌফিকুল আলম, মেহেরপুর বাজার কমিটির সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমান।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সরকারি পরিচালক নির্মল দাস ও উপ-পরিচালক জহির রায়হান। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সমন্বয়কারী কামরুজ্জামান যুদ্ধ।
মেলায় মেহেরপুর, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা জেলার মোট ৪০ জন উদ্যোক্তা তাদের উৎপাদিত নিরাপদ মাংস, দুগ্ধজাত পণ্য ও সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি প্রদর্শন করেন। দিনব্যাপী মেলায় বিভিন্ন সচেতনতামূলক ও প্রদর্শনী কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়।
মেলার শেষ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ উদ্যোক্তাদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার অর্জন করেন দামুড়হুদা উপজেলার সাদ্দাম হোসেনের “মিষ্টি বাড়ি”, দ্বিতীয় পুরস্কার পান চুয়াডাঙ্গা ভার্মি কম্পোস্টের স্বত্বাধিকারী শাহনাজ পারভিন এবং তৃতীয় পুরস্কার লাভ করেন মুজিবনগরের শাহীন সুইট।
আয়োজকরা জানান, এ ধরনের মেলা নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও বাজার সম্প্রসারণে উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার পাশাপাশি ভোক্তাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।