চুয়াডাঙ্গায় মিলিমা ইসলাম এর নেতৃত্বে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত, বর্ণাঢ্য মিছিল ও আলোচনা সভা

স্টাফ রিপোর্টার:বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় নানা আয়োজনে দিবসটি উদযাপন করা হয়েছে। “গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৪৭ বছর” এই প্রতিপাদ্যে সোমবার বিকেলে বিএনপি নেত্রী মিলিমা ইসলাম বিশ্বাসের নেতৃত্বে শহরের আদর্শ স্কুল চত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য মিছিল বের হয়।

মিছিলটি চুয়াডাঙ্গা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌরাস্তার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সভায় সভাপতিত্ব করেন ওহিদুল ইসলাম বিশ্বাস। এসময় প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় কমিটি জিয়া পরিষদের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সদস্য জনাব মিলিমা ইসলাম বিশ্বাস বলেন , “বিএনপি দেশের জনগণের দল। এ দলের ইতিহাস গৌরবময়, সংগ্রামমুখর এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশীদার। আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতেই বিএনপির প্রতিটি নেতা-কর্মী সদা প্রস্তুত।” তিনি আরো বলেন দেশে নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আমরা নিরাপদ নয়, যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি থেকে মুক্ত করতে হবে, তিনি আরো বলেন চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সবসময় আমরা লড়াই করে যাবো চুয়াডাঙ্গায়
অনুষ্ঠানে অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দলের ভূমিকার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে পরিবেশিত হয় দেশপ্রেমমূলক গান “প্রথম বাংলাদেশ, শেষ বাংলাদেশ”, যার সংগীত পরিচালনা করেন তাসনিম তাবাসসুম ছোয়া। তার কণ্ঠে গাওয়া এই গান উপস্থিত সকলকে আবেগাপ্লুত করে তোলে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আওরঙ্গজে বেল্টু,পৌর বিএনপির সাবেক সেক্রেটারি মোঃ হাজী খালেক, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য,মোহাম্মদ হাজী বাবলু, জেলা বিএনপির সদস্য রেজাউল করিম, তানভীর আহমেদ শাহি, বিএনপি নেতা পারবেজ আহমেদ,মোঃ আরশেদ আহমেদ, মোঃআব্দুস সালাম, মোহাম্মদ লিখন, মোঃ আবু বক্কর, মোঃ সোহান, মোঃ শাকিল আহমেদ, জেলা ছাত্রদল সহ-সভাপতি হিরণ, সহ সভাপতি মুগ্ধ সহ অসংখ্য নেতা কর্মী
উক্ত অনুষ্ঠানে বিএনপি এবং এর সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেন। সকলের উপস্থিতিতে পরিবেশ ছিল উৎসবমুখর এবং উদ্দীপনাময়।