চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সীমান্তে বিজিবির প্রহরীর চোখ: ১৬ লক্ষাধিক টাকার মাদক ও চোরাচালান পণ্য জব্দ

স্টাফ রিপোর্টার:চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলার সীমান্ত জুড়ে চলেছে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি)-এর সাঁড়াশি অভিযান, যা আবারও প্রমাণ করেছে রাষ্ট্রের প্রতি এই প্রহরীদের অটল দায়বদ্ধতা। গত ১২ অক্টোবর থেকে ১৯ অক্টোবর মধ্যে পরিচালিত এই নিরবচ্ছিন্ন অভিযানে ষোল লক্ষ আট হাজার একশত পঞ্চাশ টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ও চোরাচালান পণ্য জব্দ করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) কর্তৃক প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি (নং-৩১/২০২৫) অনুযায়ী, সীমান্ত এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী মাদক ও চোরাচালান চক্রের বিরুদ্ধে নিয়মিত টহল ও সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই সফল অভিযানগুলো পরিচালিত হয়। দর্শনা আইসিপি, সুলতানপুর, বারাদী, বড়বলদিয়া, ফুলবাড়ী, ঠাকুরপুর, মুন্সিপুর, হুদাপাড়া, জগন্নাথপুর, আনন্দবাস, বুড়িপোতা, বাজিতপুর ও ইছাখালি বিওপি-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে বিজিবির এই সক্রিয়তা ছিল চোখে পড়ার মতো। জব্দকৃত মালামালের তালিকাটি বেশ দীর্ঘ, যার মধ্যে রয়েছে সমাজের জন্য ক্ষতিকারক নেশাজাতীয় দ্রব্য—যেমন ১৫ গ্রাম হেরোইন, ১২৫ বোতল মদ, ৬০ বোতল ফেন্সিডিল, ৬.৪ কেজি গাঁজা, এবং প্রায় তিন হাজার (২৪৫০ পিস) নেশা জাতীয় ট্যাবলেট ও ৫৯২ পিস সেনেগ্রা ট্যাবলেট। শুধু মাদক নয়, অবৈধ পথে আসা অন্যান্য পণ্যের প্রবাহও রোধ করেছে বিজিবি; জব্দ করা হয়েছে ৬১ পিস ভারতীয় শাড়ি, ৩২৫ পিস কসমেটিক্স, ০৩টি মোবাইল ফোন, ২৭ কেজি পেঁয়াজের বীজ, ১৩৭০ কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ, ৫২ প্যাকেট আতস বাজি এবং ১৪ বোতল কীট নাশক। বিজ্ঞপ্তিতে আরও স্পষ্ট করা হয়েছে যে, সীমান্তজুড়ে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় চোরাচালান চক্রের বিরুদ্ধে বিজিবি তার গোয়েন্দা তৎপরতা আরও জোরদার করেছে এবং অনুপ্রবেশের সম্ভাব্য স্থানগুলোতে নিবিড় নজরদারি ও অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এই সফল অভিযান কেবল বিজিবির দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের পরিচায়ক নয়, বরং সীমান্ত এলাকাকে মাদক ও অবৈধ চোরাচালানমুক্ত রাখার জাতীয় অঙ্গীকারেরই বাস্তবায়ন। চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর সীমান্তে বিজিবির এই কঠোর অবস্থান ভবিষ্যতেও বজায় থাকবে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।