চুরির অপবাদ সইতে না পেরে যুবক আশরাফুলের বিষপানে আত্মহত্যা

দামুড়হুদার ঝাজাডাঙ্গায় লুকিয়ে রাখা গাঁজা না পেয়ে বাড়ি মালিককে একের পর এক মাদকব্যবসায়ীদের হুমকি

দর্শনা অফিস: দামুড়হুদার ঝাজাডাঙ্গা গ্রামে গাঁজা চুরির অপবাদ সইতে না পেরে আশরাফুল নামের এক ব্যক্তি বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। আশরাফুলের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে দাফন করা হয়েছে সম্পন্ন। স্বামী বিষপানে আত্মহত্যা করায় ৩ সন্তান নিয়ে অথৈয় সাগরে যেন হাবুডুব খাচ্ছে সাবিনা। অভিযুক্ত ৬ গাঁজা কারবারির বিরুদ্ধে করা হয়েছে অভিযোগ। পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ঝাজাডাঙ্গা মাদরাসাপাড়ার আশরাফুলের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন অভিযোগ করে বলেছেন, গত সোমবার সন্ধ্যার পর ঝাজাডাঙ্গা গ্রামের আমিন উদ্দিনের ছেলে বকুল, কুদ্দুস আলীর ছেলে ইমরান, হযরত আলীর ছেলে সাহজাহান, বদর উদ্দিনের ছেলে ফজলু, আবু তালেবের ছেলে কলম আলী ও নাস্তিপুরের আয়নালের ছেলে আহাদ আলী কয়েক কেজি গাঁজা কাউকে না বলে তাদের বাড়িতে রেখে যায়। গভীররাতে অভিযুক্ত ওই গাঁজা কারবারিদের লুকিয়ে রাখা গাঁজা না পেয়ে আশরাফুলকে গাঁজা চুরির অপবাদ দেয়। হয় গাঁজা নইলে সমপরিমাণ টাকার দাবি করা হয়। এ টাকা না দিলে পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দেয় তারা। এতে নাজেহাল হয়ে পড়েন আশরাফুল। অভিযুক্তরা একের পর তাদের সাঙ্গ-পাঙ্গ ও পুলিশ প্রশাসন পর্যন্ত আমার বাড়িতে পাঠিয়েছে গাঁজা উদ্ধারের জন্য। চরমভাবে হয়রানি ও চাপের মুখে কোন উপায়ন্তর না পেয়ে গত বৃহস্পতিবার গ্রামের বেলে মাঠে ঘাস মারা বিষপান করেন আশরাফুল। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। ওই দিন রাত ৯টার দিকে মারা যান আশরাফুল। শুক্রবার ময়না তদন্ত শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশ লাশ হস্তান্তর করে আশরাফুলের পরিবারের সদস্যদের। বিকেলেই স্থানীয় গোরস্থানে আশরাফুলের লাশ দাফন সম্পন্ন করা হয়। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম আশরাফুলের মৃত্যুতে ৩ সন্তান নিয়ে যেন অথৈয় সাগরে পড়েছেন স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। পরিবার পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সাবিনা। তবে আশরাফুলের মৃত্যুর পর থেকে গা-ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত ওই ৬ মাদককারবারি। দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহব্বুর রহমান কাজল জানান, এ ঘটনায় থানায় কোনো প্রকার অভিযোগ বা মামলা দায়ের করেনি কেউ। তবে মামলা করলে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

Comments (0)
Add Comment