চুয়াডাঙ্গার কুড়ালগাছিতে বৃদ্ধ পিতা-মাতাসহ ৫ জনকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন দুই ছেলে

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ালগাছিতে বৃদ্ধ পিতা রুহুল আমিন (৭০) ও মা রিনা খাতুনকে পিটিয়েছে দুই ছেলে। এসময় তাদের আরও ভাইসহ দুই বোনকে বেধড়ক পিটিয়েছেন তারা। আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে এঘটনা ঘটে। তবে কি কারণে এঘটনা ঘটেছে এ বিষয়ে কেউ স্পষ্ট কিছু জানায়নি। কেউ কেউ বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন আবার কেউ কেউ বলেছেন ছেলের বউকে কেন্দ্র করে এঘটনা ঘটেছে। আহতরা হলেন, কুড়ালগাছি গ্রামের বাগানপাড়ার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে রুহুল আমিন (৭০), তার স্ত্রী রিনা বেগম (৬৫), ছেলে এনামুল হক (৩০) দুই মেয়ে কাকুলি খাতুন (৩৫) ও রুনা খাতুন (১৮)
পুলিশের দাবি, ছেলেদের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরেই মারধরের ঘটনা ঘটেছে। আহত রুহুল আমিন বলেন, আমার প্রথম পক্ষের স্ত্রীর ছেলে আলামিন পরপর দুটি বিয়ের পর ডিভোর্স দিয়েছে। সেই ডিভোর্সের টাকাও আমাকে দিতে হয়েছে। এরপর তৃতীয় স্ত্রী তানিয়াকে নিয়ে এখন সংসার করছে। তানিয়া আমার ও আমার স্ত্রী রিনা বেগমের সাথে সবসময় খারাপ আচরণ করে আসছে। আবার তার কথামতো ছেলে আলামিন আমাদের দুজনকেই প্রতিনিয়ত মারধর করে। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে গতকাল রাতে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ছেলে আলামিন, তার শাশুড়ি রিজিয়া খাতুন, স্ত্রী তানিয়া, আমার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর ছেলে বিকাশ আমাদেরকে বাশ ও রড দিয়ে মারধর করে। পরে স্থানীয়রা আমাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এদিকে পরিবারের অপর সদস্যরা ঘটনার কারণ হিসেবে সুস্পষ্ট কোনো কথায় বলেনি। তারা প্রতিবেদন প্রকাশ না করার জন্য বিভিন্নভাবে সংবাদকর্মীদের ম্যানেজ করতে থাকেন। তারা বলেন, অনেকগুলো ঘটনা আছে। এতো কিছু বলা যাবে না। সব নিজেদের পারিবারিক বিষয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রিয়াসাদ জামান বলেন, তাদের সবার অবস্থা শঙ্কামুক্ত। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবির বলেন, আমি বিষয়টি মৌখিকভাবে শোনার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠায়। প্রাথমিকভাবে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে মারামারি হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে দুজনের আহতের খবর পাওয়া গেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

Comments (0)
Add Comment