চুয়াডাঙ্গার গড়াইটুপি ইউপি নির্বাচনের আর মাত্র ৯ দিন বাকি

প্রশাসনের ভূমিকায় আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হওয়ায় জনমনে স্বস্তি

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার নবগঠিত গড়াইটুপি ইউপি নির্বাচনের বাকি রয়েছে আর মাত্র ৯ দিন। নির্বাচনকে ঘিরে প্রথমদিকে আইনশৃঙ্খলার কিছুটা অবনতি হলেও বর্তমানে উন্নতির দিকেই যাচ্ছে। ফলে ইউনিয়নবাসীর মনে ফিরে এসেছে স্বস্তি। সুষ্ঠুভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করা নিয়ে ভোটারদের মনে নানা প্রশ্ন জাগলেও ধীরে ধীরে কাটতে শুরু করেছে সে শঙ্কা। সুষ্ঠু ও সফল নির্বাচন উপহার দেয়ার লক্ষ্যে প্রশাসনের কার্যকরী ভূমিকা নেয়ায় সাধুবাদ জানিয়েছে ইউনিয়নবাসী। এদিকে, প্রার্থীরাও নির্বিঘেœ চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার-প্রচারণা। চেয়ারম্যান মেম্বার প্রার্থীরা ভোটারদের মন জয় করে চাইছেন দোয়া ও সমর্থন।
২০ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবগঠিত গড়াইটুপি ইউপি নির্বাচন। নির্বাচনের আর মাত্র বাকি রয়েছে ৯ দিন। প্রথম দিকে ভোট নিয়ে ভোটারদের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিলেও তা কাটতে শরু করেছে। আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হওয়ায় ইউনিয়নবাসীর মনে ফিরে এসেছে স্বস্থি। ফলে প্রার্থীরা নির্বিঘেœ চালিয়ে যাচ্ছে প্রচার প্রচারণা। প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে করছেন ভোট ভিক্ষা সেই সাথে চাইছেন দোয়া। ব্যক্তি ইমেজ দলীয় সমর্থন কাজে লাগিয়ে ভোটারদের মন জয় করতে প্রতিদিন ছুটছেন। তবে জয়ের ব্যাপারে সবাই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। ইউনিয়নের কয়েকজন ভোটারের সাথে কথা হলে তারা বলেন, প্রত্যেক প্রার্থীই তার অবস্থান থেকে কোনো না কোনো দিক থেকে যোগ্য। এখনই বলা যাচ্ছে না কার পাল্লাভারী। তবে ভোটের ফলাফল যাই হোক না কেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ আইনশৃঙ্খলার যে উন্নতি করেছে তাকে সাধুবাদ জানাতেই হয়। পাস ফেল ভাগ্যের ব্যাপার। এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিতুদহ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আকতার হোসেন (ধানের শীষ), আ.লীগ নেতা শফিকুর রহমান রাজু মাস্টার (নৌকা), রেজাউল করিম (মোটরসাইকেল স্বতন্ত্র), আব্দুল মতিন (আনারস স্বতন্ত্র)। এছাড়াও সাধারণ পুরুষ সদস্য হিসেবে ৪৪ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য হিসেবে ৭জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এদিকে ইউপি নির্বাচন হচ্ছে স্থানীয় নির্বাচন। এখানে প্রতীকের চাইতে প্রার্থীর ব্যক্তি ইমেজ, সামাজিক অবস্থান জয়ের ব্যাপারে প্রধান ভূমিকা রাখবে বলে সচেতন মহল মনে করছেন। এদিকে যাচাই বাচাইয়ে বাতিল হওয়া চেয়ারম্যান প্রার্থী ওহেদ এখনও প্রার্থিতা ফিরে পেতে উচ্চ আদালতের নিকট ঘুরে বেড়াচ্ছেন। উল্লেখ্য, এ নির্বাচনে মোট ভোটার ১৬ হাজার ৪৪৫ জন। যাদের মধ্যে নারী ভোটার ৮ হাজার ৪৫৪ এবং পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ২৯১ জন। যাদেরকে ২০ অক্টোবর ইভিএম-এর মাধ্যমে ভোট দিতে হবে।

 

Comments (0)
Add Comment