চুয়াডাঙ্গার ট্রাফিক সার্জেন্ট নবাবের বিরুদ্ধে অমানবিক আচরণের অভিযোগ

রোগীসহ প্রাইভেটকার আটকে রেখে আধাঘণ্টা পর দিলেন মামলা

স্টাফ রিপোর্টার: রোগীসহ প্রাইভেটকার দীর্ঘসময় আটকে রেখে মামলা দিলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট। গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গা শহরের বেলগাছি রেলগেট এলাকায় এ অমানবিক ঘটনাটি ঘটিয়েছেন ট্রাফিক সার্জেন্ট নবাব। রোগী ব্যথায় কাতরালেও তাতে মন গলেনি সার্জেন্ট নবাবের। মামলা দিয়ে দ্রুত ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করলেও তাতে কর্ণপাত করেননি পুলিশ কর্মকর্তা। অবশেষে আধাঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেই মামলাসহ যাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন স্কুলশিক্ষক সরোজগঞ্জের সবুর জাহাঙ্গীর আলম সুমন। মানবিক পুলিশ সুপারের অধীনে একজন পুলিশ সার্জন্টের এহেন অমানবিক কর্মকা-ে বিস্মিত হয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, অভিযোগ রয়েছে অবৈধযান চলাচল করলেও সেদিকে লক্ষ্য নেই ট্রাফিক পুলিশের।
সবুর জাহাঙ্গীর আলম সুমন অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার রাতে পায়ে ব্যথা পাওয়ার কারণে শনিবার সকালে ছোট বোনকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন তিনি। পায়ের হাড় ফেটে যাওয়ায় কাস্ট (প্লাস্টার) করে প্রাইভেটযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। বেলগাছি রেলগেট এলাকায় পৌছুলে ট্রাফিক পুলিশ তাদের প্রাইভেটকারের গতিরোধ করেন। সুমন চালকের আসন থেকে নেমে সার্জেন্ট নবাবের কাছে গিয়ে গাড়িতে অসুস্থ বোন থাকার কথা জানান। সম্প্রতি গাড়ির কাগজপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে; করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং তিনি নিজেও অসুস্থ থাকায় কাগজপত্র নবায়ন করা হয়নি বলে জানিয়ে এবারের মতো ছাড় দেয়ার অনুরোধ করেন সুমন। অনুরোধ না শুনে সার্জেন্ট নবাব তাকে লাইনে দাঁড়াতে বলেন।
উথলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়েল শিক্ষক সবুর জাহাঙ্গীর আলম সুমন বলেন, পরে কাগজপত্র নিয়ে সার্জেন্ট নবাবের কাছে গিয়ে দ্রুত মামলা দিয়ে ছেড়ে দেয়ার কথা বলি। কিন্তু তিনি গুরুত্ব না দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার কথা বলেন। পরে আধাঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর একটা মামলা লিখে আমাকে ছেড়ে দেয়। যদি মামলা দিতেই হয়, তাহলে আধাঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখবেন কেনো? তারপরও আমার গাড়িতে রোগী রয়েছে। রোগী থাকা সত্বেও তিনি এ ধরনের কাজ করলেন। এটা কী মানবিক কোনো কাজ? মানবিক পুলিশ সুপারের অধীনে থেকে একজন পুলিশ সার্জেন্টের এমন অমানবিক কাজ আসলেই দুঃখজনক।
সুমন সাংবাদিককে বলেন, আমি নিজেও অসুস্থ। মাস তিনেক আগে কাগজপত্র মেয়াদউত্তীর্ণ হয়েছে। একদিকে করোনা, অন্যদিকে আমি অসুস্থ। ফলে নবায়ন করা হয়নি।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট নবাব বলেন, রোগী থাকা সত্বেও কাউকে আধাঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখবো এতোটা খারাপ আমি নই। আধাঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগটি সত্য নয়। উল্লেখ্য, এর আগেও আদালতের এক কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে ট্রাফিক সার্জেন্ট নবাবের বিরুদ্ধে।

Comments (0)
Add Comment