গড়াইটুপি প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানার অন্তর্ভুক্ত গড়াইটুপি ইউনিয়নের তেঘরী গ্রামে এক সাথে তিন সন্তানের দিলেন এক নারী। যার মধ্যে দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তান। কিন্তু জন্মের কিছুক্ষণ পরই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে তিন নবজাতকই। ফলে আনন্দের মুহূর্ত পরিণত হয় শোকে। এক সাথে তিন সন্তানের জন্ম দেয়া ওই নারীর নাম মাসুমা খাতুন (২৪)। তিনি গড়াইটুপি ইউনিয়নের তেঘরী গ্রামের ছাইদুর রহমানের স্ত্রী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের তেঘরী গ্রামের ছাইদুর রহমানের স্ত্রী গত পরশু বুধবার রাতে ওই গৃহবধূ প্রসব বেদনায় আক্রান্ত হলে পরিবারের লোকজন তাকে ঝিনাইদহের হাসান ক্লিনিক নামের একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে বিনা অস্ত্রোপচারে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে দুই কন্যা সন্তান ও এক ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। জন্মের কিছুক্ষণ পর অর্থাৎ সাড়ে ১১টার দিকে তিনটি নবজাতকই মারা যায়। ছাইদুরের বড় ভাই জাহিদুল ইসলাম জানান, তার ভাইয়ের স্ত্রী মাসুমা খাতুনের প্রসব বেদনা উঠলে ঝিনাইদহের হাসানুজ্জামান ক্লিনিকে নেয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে দুই কন্যা সন্তান ও এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তার ভাবী মাসুমা খাতুন। জন্মের সময় শিশুগুলোর অবস্থা সংকটাপন্ন থাকায় ইনকিউবেটরে রাখা হয়। কিন্তু সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে একে একে তিনজনই মারা যায়। এ ঘটনায় নবজাতকদের পরিবারে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। পরিবার ও স্বজনরা হতবিহ্বল হয়ে পড়েছেন। মানুষের মুখে মুখে এখন একটাই কথা—যে ঘরে আজ আনন্দের কোলাহল হওয়ার কথা ছিল, সেখানে নেমে এসেছে নীরবতা আর কান্নার করুন আহাজারি। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন চাঁন দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে জানান, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। শুনেছিলাম এর আগে আলট্রাসনো করে ৩টি বাচ্চার কথা অবগত হন। কিন্তু ৭ মাসের মাথায় প্রসব বেদনা উঠে নরমালে বাচ্চা হবার পরে মারা যায়। তবে তাদের মা সুস্থ আছেন। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বাদ আছর জানাজা শেষে গ্রাম্য কবরস্থানে তাদের দাফন কাজ করা হয়।