চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় ট্রেনে কেটে মাদরাসা ছাত্রের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় ট্রেনে কেটে বনি ইয়ামিন (১৪) নামে এক মাদরাসা ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে দর্শনা হঠাৎপাড়ার অরক্ষিত রেলগেটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বনি ইয়ামিন দামুড়হুদা উপজেলার হাউলি ইউনিয়নের বড় দুধপাতিলা গ্রামের মাঝেরপাড়ার আশরাফুল আলমের ছেলে। সে পার্শ্ববর্তী আনোয়ারপুর গ্রামের হাফেজিয়া মাদরাসার ছাত্র। দর্শনা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কমিশনার মনির সরদার বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশুটি বাইসাইকেলযোগে মাদরাসা থেকে খাবার খেতে বাসায় যাচ্ছিলো। এসময় হঠাৎপাড়ার অরক্ষিত রেলগেট পার হতে গেলে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী রকেট মেইল ট্রেনের চাকার নিচে পড়ে। এতে তার বাম পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তার পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা জানায়, এই অরক্ষিত রেলগেটে ইতোপূর্বে অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। অনেকে পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। তারপরও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। শিশুটির মা তহমিনা খাতুন বলেন, আমার চার মেয়ে ও দুই ছেলের মধ্যে বনি ইয়ামিন সবার ছোট। সে স্থানীয় মাদরাসায় পড়াশোনা করতো। বনি ইয়ামিন ৫ পারা পবিত্র কোরআনের হাফেজ ছিলো। প্রতিদিনের ন্যায় বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়িতে খেতে আসার পথে ট্রেনে কেটে মারা গেলো। আমার স্বপ্ন ছিলো সে একদিন বড় আলেম হবে। আমার মৃত্যুর পর সে জানাজা পড়াবে বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
দর্শনা রেলওয়ে ফাঁড়ি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিক উদ্দিন বলেন, হঠাৎপাড়ার অরক্ষিত রেলগেট পার হবার সময় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলহাটিগামী রকেট মেইল ট্রেনে কেটে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। মরদেহটি সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। তার বাম পা শরীর থেকে বিছিন্ন হয়ে গেছে। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

 

Comments (0)
Add Comment