স্টাফ রিপোর্টার:চুয়াডাঙ্গা সদরের নয়মাইলে ট্রাক এবং ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ইজিবাইকচালক সহ একই পরিবারের ৬ সদস্য
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সদরের নয়মাইলে এ দূর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সাহার আলী (৫০) সদরের পুরাতন ভান্ডারদহ গ্রামের মৃত. মনসুর আলীর ছেলে।
আহতরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের পুরাতন ভান্ডারদহ গ্রামের মৃত, মুনছুর আলীর ছেলে এবং নিহত সাহার আলীর বড় ভাই আশরাফুল হক (৫৫), জামাত আলীর স্ত্রী বেবী খাতুন (৫০) সাহার আলীর স্ত্রী সিফালী খাতুন (৪০) জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী পারভীনা আক্তার (৪৫) রুহুল আমিনের স্ত্রী, জুরিমা খাতুন (২৭) এবং একই উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের কালুপোল গ্রামের পশ্চিম পাড়ার মকছেদ আলীর ছেলে ইজিবাইকচালক শুকুর আলী (৬৫)। এরমধ্যে ইজিবাইকচালক বাদে সবাই একই পরিবারের সদস্য।
আহতরা জানান, আমাদের একজন স্বজন মারা গেছেন। বিকেলে ইজিবাইকযোগে একই পরিবারের ৭ জন সদস্য স্বজনদের মরদেহ দেখতে যাচ্ছিলাম। এ সময় নয়মাইল নামকস্থানে পৌছালে একটি ট্রাক পিছন থেকে ধাক্কায় দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সাহার আলী মারা যায়। আমাদের সঙ্গে একটি শিশুও ছিল। আল্লাহর রহমতে ইজিবাইকচালকসহ আমরা সবাই প্রাণে রক্ষা পেয়েছি।
চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গীর আলম সরকার দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে আমাদের টিম ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কাজ চালাই। ট্রাক এবং ইজিবাইক সংঘর্ষের ঘটনায় ঘটনাস্থলেই সাহার আলী নামের একজন মারা গেছেন। আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পৌছে দেয়া হয়েছে।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আফরিনা ইসলাম দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, আহতদের মধ্যে জুরিমা খাতুনের অবস্থা আশংকাজনক। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয়েছে। দুজনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) খালেদুর রহমান দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় একজন মারা গেছেন বলে জেনেছি। আহত হয়েছেন কয়েকজন। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।