চুয়াডাঙ্গার বিশিষ্ট বইব্যবসায়ী গোলাম মওলা খানের ইন্তেকাল

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার বিশিষ্ট বইব্যবসায়ী গোলাম মওলা খান ইন্তেকাল করেছেন ((ইন্না লিল্লাহি….. রাজেউন)। গতকাল শনিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। গতরাতে চুয়াডাঙ্গায় তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গোলাম মওলা খান ছিলেন চুয়াডাঙ্গা গুলশানপাড়ার আব্দুর শরীফ খানের ছেলে এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও জেলা শহরের বইমেলা লাইব্রেরির স্বত্বাধিকারী।
জানা যায়, গত ৪ জুন গোলাম মওলা খানের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বাড়িতে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে নেয়া হয় ঢাকার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে। সেখানেকার আইসিইউতে গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মারা যান তিনি। গতকাল রাতেই তার মৃতদেহ চুয়াডাঙ্গা গুলশানপাড়ার নিজ বাড়িতে নেয়া হলে চারিদিকে নেমে আসে শোকের ছায়া। রাত সাড়ে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জান্নাতুল মওলা কবরস্থান জামে মসজিদে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফনকাজ সম্পন্ন করা হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও নাতি নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
এদিকে গোলাম মওলা খানের মৃত্যুর খবর জানার পর তার স্মরণে জেলার সমস্ত লাইব্রেরি দুপুর থেকে আধাবেলা বন্ধ রাখা হয়। তাকে শেষবারের মতো দেখতে ও শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ তার বাড়িতে যান এবং জানাজা ও দাফনকাজে যোগদান করেন। অন্যদিকে গোলাম মওলা খানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি হারুন অর রশিদ বাবু, কোষাধ্যক্ষ আমির হোসেন, আলমডাঙ্গা উপজেলা শাখার সভাপতি ওয়াজেদ হোসেন কচি, সাধারণ সম্পাদক আলী আশরাফ তুষার, দামুড়হুদা উপজেলা শাখার সভাপতি হাসানুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক আহসানুল কবির মিশু, জীবননগর উপজেলা শাখার সভাপতি রাশেদ খান ও সাধারণ সম্পাদক আলী আখতার। তারা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। শোকবার্তায় নেতৃবৃন্দ জানান, গোলাম মওলা খান ছিলেন বইব্যবসায়ীদের একজন যোগ্য অভিভাবক। তাকে হারানোর ক্ষতি খুব সহজে পুষিয়ে ওঠা সম্ভব হবে না।

 

Comments (0)
Add Comment