চুয়াডাঙ্গার বেগমপুরের কেরু খামারের পাহারাদার কাজল প্রতারকের খপ্পরে

স্ত্রীর অপারেশনের জন্য বিকাশের ১৫ হাজার টাকা খুইয়ে দিশেহারা স্বামী
গড়াইটুপি প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদরের বেগমপুর কেরু অ্যান্ড কোম্পানির পাহারাদার প্রতারকের খপ্পরে পড়ে বিকাশের ১৫ হাজার টাকা খুইয়েছেন। স্ত্রীর অপারেশনের জন্য শ্বশুরের পাঠানো বিকাশের টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেয় প্রতারক। গতকাল বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন অসহায় কাজল।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ৬২ আড়িয়া গ্রামের আওলাদ হোসেনের ছেলে কাজল বেগমপুর কেরু কৃষি খামারের চুক্তিভিত্তিক দৈনিক পাহারাদারের কাজ করেন। তার স্ত্রী সন্তান সম্ভাবা। স্ত্রীর অপারেশনের জন্য শ্বশুরের পাঠানো বিকাশের ১৫ হাজার টাকা প্রতারকের অভিনব কৌশলে খুইয়েছেন। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে ঝিনাইদহের একটি বিকাশ এজেন্টের দোকান থেকে কাজলের শ্বশুর তার নম্বরে ১৫ হাজার টাকা বিকাশ করে পাঠায়। তার কিছুক্ষণ পরেই ১২.৩৩ মিনিটে কাজলের নম্বরে ০১৭৬৫-২৪০৩৯৬ নম্বর থেকে জনৈক নিজেকে বিকাশের এজেন্ট দাবি করে কাজলকে বলেন, আপনার নম্বরে ১৫ হাজার টাকা বিকাশ করেছে। আপনি কি টাকা পেয়েছেন? কাজল এই সময় হ্যাঁ সুচক জবাব দিলে ওই ব্যক্তি ধন্যবাদ জানিয়ে কল কেটে দেয়। পরবর্তীতে আনুমানিক দুপুর ১টা ৮ মিনিটে ০১৭২৫-৮২৯৫০৭ নম্বর থেকে ওই ব্যক্তি আবারও কাজলের নম্বরে কল দিয়ে জানান, তার নম্বরে টাকা পাঠানোর পরপরই অন্য একটি নম্বরে ৯ হাজার টাকা পাঠানো হয়েছে। কিন্তু যে নম্বরে টাকা পাঠানো হয়েছে তা একজন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। পুলিশ বিষয়টি জেনে গেছে, তারা আমার কাছে নম্বর চেয়েছিলো। আমি সেই নম্বর না দিয়ে ভুল করে আপনার নম্বর দিয়ে ফেলেছি। যার ফলে আপনার বিকাশ নম্বরের পিন কোড চেঞ্জ করতে হবে। অনুগ্রহ করে আপনার বিকাশের পিন নম্বরটি দেন। না হলে আপনার একাউন্ট ব্লক হয়ে যাবে ও আপনি পুলিশি ঝামেলায় পড়বেন। সরল বিশ্বাসে কাজল তার মোবাইলের বিকাশ একাউন্টের পিন নম্বর বলে দেয়। তার পরপরই তার মোবাইল বিকাশ থেকে ১৫ হাজার টাকা উত্তোলনের ম্যাসেজ পায়। পরে কাজল প্রতারণা বিষয়টি বুঝতে পারলেও প্রতারক তার নম্বরটি সুইচ অফ করে দেয়। এদিকে স্ত্রীর অপারেশনের জন্য শ্বশুরের নিকট থেকে ঋণ নেয়া টাকা হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগী কাজল।

Comments (0)
Add Comment