স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় ক্ষতিকর রং মিশিয়ে নিম্নমানের মরিচের গুড়া তৈরীর অভিযোগে রজব মশলা মিলে অভিযান চালিয়েছে নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক রজব আলীকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সাথে জব্দ করা হয় মরিচের সাথে মেশানো ক্ষতিকর রংসহ বিভিন্ন উপকরণ। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সাতভাই পুকুর পাড়ের পাশে এ অভিযান চালোনো হয়।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার রজব মশলা মিল মালিক অনেকদিন যাবৎ নিম্নমানের মরিচের সাথে ক্ষতিকর রংসহ বিভিন্ন উপকরণ মিশিয়ে আসছে। এমন অভিযোগ পেয়ে চুয়াডাঙ্গা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা সজীব পাল ও পৌরসভার স্যানেটারি ইন্সপেক্টর নারগিস জাহানের নেতৃত্বে একটি টিম ওই মিলে অভিযান চালান। অভিযানকালে দেখা যায় সেখানে কর্মরত শ্রমিকরা মিল মালিকের নেতৃত্বে নিম্নমানের মরিচের সাথে ক্ষতিকর রং ও অন্যান্য উপকরণ দিয়ে ভেজাল মরিচের গুড়া তৈরি করছে এ অভিযোগের সত্যতা মেলে। এরপর খবর দেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রহমানকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তিনি রজব মশলা মিলের মালিককে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আইনে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া জব্দ করা হয়েছে ৯ বস্তা নিম্নমানের মরিচ ও ক্ষতিকর রঙসহ বিভিন্ন উপকরণ। সেই সাথে মিল মালিক রজব আলীকে সতর্কতা করা হয় পরবর্তীতে এ ধরণের কাজ চলমান থাকলে আর বড় ধরণের জরিমানা ও দ- দেয়া হবে। চুয়াডাঙ্গা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা সজীব পাল জানান, নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অভিযান পরিচালনার অংশ হিসেবে মশলা কারখানায় অভিযান চালিয়েছি। কারখানায় অভিযানকালে খুবই নিম্নমানের মরিচের সাথে ক্ষতিকর রঙ মিশিয়ে মশলা তৈরি করা হয়েছে। অভিযানে সেসব উপকরণসমূহ হাতেনাতে জব্দ করেছি। এসব নিম্নমানের গুড়া মরিচ খেলে মানুষের কিডনি ও পাকস্থলির ব্যাপক ক্ষতি হয়। এমনকি এক পর্যায়ে বিকলও হতে পারে। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ২০০৯ (৪২) ধারা অনুযায়ী ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ইতোপূর্বেও এ প্রতিষ্ঠানে এ ধরণের কার্যক্রমের দায়ে জরিমানা করা হয়েছিলো। একই ভুল তিনি বার বার করছেন এ জন্য অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়েছে।